লালমোহন প্রতিনিধি ॥
ভোলা-লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম ও তার পরিবারের অব্যাহত অত্যাচারের ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ বাজারে এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি সদস্য মাহবুব আলম সেন্টু ও ভুক্তভোগী মোস্তফা মিয়াসহ শাহে আলমের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আবুল কালাম এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, গরু চুরি ও হত্যা মামলার আসামী হিসাবে সকলের নিকট পরিচিত। হত্যা মামলায় জেল খাটার পর এলাকায় এসে নতুন করে পূর্বের ব্যবসা ও প্রতারনা শুরু করেন। একই জমি দু’জনের নিকট বিক্রি করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়। ওই টাকার জন্য গ্রাম আদালতে বিচার চাইলে বিচারে সে দোষী প্রমান হওয়াসহ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আবুল কালাম ও তার পরিবার। মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগ তুলে নিজেকে বাচাতে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ সহ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে করে বেরাচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন মোস্তফা মিঢা। শুধু তাই নয় বিচারে রায় হওয়া টাকা না দিয়ে আমাদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মাহবুব আলম সেন্টু বলেন, আবুল কালাম একজন খারাপ প্রকৃতির লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা পর্যন্ত হয়েছে। সে মোস্তফা ও শাহে আলমের নিকট থেকে একই জমি বিক্রির কথা বলে টাকা নেন যার বিচারে সে দোষী প্রমানিতও হয়েছেন। আবুল কালাম একজন মাদক ব্যবসায়ী বলেও আমাকে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করে জানান, আবুল কালাম প্রতারনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফলে ওই টাকার জোরে পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদেরকেসহ এলাকার সাধারন মানুষকে বিপদে ফেলাসহ নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন। আমরা প্রশাসনের নিকট আবুল কালামের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে ফরাজগঞ্জ চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ডাকি, আবু কালাম মোস্তফাকে জমি দেওয়ার নামে যে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে। সেই টাকা না দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আবু কালাম কেনো আমার নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আমি এর সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৪:২৫ ৪১৫ বার পঠিত