তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে এক গৃহবধূ। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করেন। এঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরমোজাম্মেল ৬নং ওয়ার্ড দুলাল বাজার সংলগ্ন রবিউলের মেয়ে নার্গিসের (২০) সাথে ৯ মাস পূর্বে একই এলাকার শাজাহান পাহলানের ছেলে রিয়াজ পাহলানের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। ছোটকাল থেকেই গৃহবধু নার্গিসের পেটে প্রচন্ড ব্যথা ছিলো। এরাইধারাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে পেটে ব্যথা শুরু হলে তাকে গরম পানি পান করানো হয়। একপর্যায়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আসলে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন এক সময় নার্গিস ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেন। পরে ভোর ৫টায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে নিহতের স্বামী ও তার বোন মিলে লাশ নামিয়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি তদন্ত এনায়েত হোসেন লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন ময়না তদন্তের জন্য। আতœহত্যার ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি তদন্ত এনায়েত হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪৪:৫৩ ৭০১ বার পঠিত