দৌলতখান প্রতিনিধি ॥
ভোলার দৌলতখানে জমি দখল করে জোরপূর্বক বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দিদারউল্লাহ্ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় অভিযোগ দায়েরের পর উপ-পরিদর্শক মাহামুদুল হাসান ওই দিনই (শুক্রবার) ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলমগীর খান গংদের ২ দশমিক ১৯ একর ওয়ারিশ সম্পত্তি মো. শাহাজান খান গংদের দখলে রয়েছে। যার দিদারউল্লাহ মৌজার জেএল নং- ৩০, তৌজি নং- ৩১, পিএস খতিয়ান নং- ৬০১, আরএস খতিয়ান নং- ৪৮৫, এসএ খতিয়ান নং- ৪৩৫। এসএ দাগ নং-১৯৫২, ১৯৫৩, ১৯৫৪ সহকারে আরও ১৯টি দাগ রয়েছে। যার মধ্যে ২ দশমিক ১৯ একর ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে মো. শাহাজান খান গংদের সঙ্গে মো. আলমগীর খান গংদের বিরোধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. শাহী এমরান জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ শাহাজান খান গংদের সঙ্গে আমাদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার ফয়সালাও হয়েছে। ফয়সালায় জমি আমরা পাওনা হই। তবে মো. শাহাজান খান গংরা পাওনা জমি আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে।
আরো জানা গেছে, শাহাজাহান খান গং ও আলমগীর গং সম্পর্কে আত্মীয়। এ ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর মোঃ শাহী এমরান বাদি হয়ে দৌলতখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতখান থানার উপ-পরিদর্শক মাহামুদুল হাসান ওই দিনই (শুক্রবার) ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে, প্রতিপক্ষ শাহাজান খানের ভাতিজা এয়ার মোহাম্মদ খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এসব সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি। তবে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মনির জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে মো. শাহী এমরান আমাকে জানিয়েছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মো. শাহী এমরান বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০১:১৮ ৩৬৮ বার পঠিত