স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় রুজিনার লাশের দাম আড়াই লাখ টাকা প্রদান করবেন বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তারপরও শেষ রক্ষা হয় কিনা দেখা যাবে ভবিষ্যতে। নিহতের ভাই জাবের ও নিকট আত্মীয় মোকলেছ, হারুন, মোশাররফ, আকলিমাসহ একাধিক ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে জানান, সুলতান মিয়া আমাদেরকে আড়াই লাখ টাকা দিবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য আমরা মামলা মোকদ্দমায় যাই নাই।
উল্লেখ্য গত বুধবার রাত ২টার দিকে শহরের পুরাতন যুগিরঘোল এলাকায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার বাসা থেকে রোজিনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্ত শেষে গৃহকর্মীর লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিলে পরিবার লাশ গ্রহণ করেনি। তবে গৃহকর্মীর পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
সরজমিনে জানা গেছে, বুধবার রাত ৩টায় গৃহকর্মী রোজিনা রান্না ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুলতান মিয়া ভোলা থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি টিম রান্না ঘর থেকে রোজিনার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে তাকে ময়না তদন্ত করে ইলিশা ইউনিয়নে রোজিনার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা লাশ গ্রহণ করেনি। গৃহকর্মী লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোজিনার বড় বোন নাজমা আক্তার বলেন, রোজিনাকে সুলতান মিয়ার ছেলে জোবায়ের ও শ্যালক মিজান যৌন নির্যাতন করে গলায় ফাঁস দিয়ে রান্না ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রোজিনা হত্যার বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, রোজিনা আক্তার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চর আনন্দ পার্ট-১ গ্রামের বেছু মুন্সীর মেয়ে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে ৭ বছর আগে তার মেয়ে রোজিনা আক্তার (১৬) কে শহরের পুরাতন যুগিরঘোল এলাকার সুলতান মিয়ার বাসায় কাজে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১:০২:৫৬ ৩০১ বার পঠিত