ভোলার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ পন্য

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ভোলার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ পন্য
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪



---

ছোটন সাহা ॥

সরকার ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারন করে দিলেও তার প্রভাব পড়েনি ভোলার বাজারে। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচাছেমত পন্য বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। সোমবার (১৮ মার্চ) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ নিত্যপন্য।

সবজির দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকালেও চিনি, সোয়াবিন তেল ও সোলার দাম বেড়েছে গড়ে ২-৫ টা পর্যন্ত। খেজুর ও তেলুব দাম বেড়েছে।

চিনি ১৪৫ টাকার স্থলে ১৪৬ টাকা, সোয়াবিন তেল (খোলা) ১৬৫ টাকা স্থলে দাম বেড়ে হয়েছে ১৬৮ টাকা, কাচা মরিচ কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। যা পূর্বের দাম ছিলো ৫০ টাকা। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। শসা কেজি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচাছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে পামওয়েল ১৩৮ টাকার পরিবর্তে ১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাগালের মধাযে নেই সরবতের দাম।

এদিকে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা। পুর্বে ২৮ টাকা দামের পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা দরে। তবে বাজারে খেসারি ডালের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ১৩০ টাকা। যা রমজানের আগে ছিলো ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। একই অবস্থা সোলার। যেটি কেজিতে ৯০ টাকার স্থলে বিক্রি হচাছে ১০৫ টাকায়। বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে টমেটো, গাজর, আদা, পেয়াজ, রসুন ফুলকপি ও বাধা কপির দাম। তবে কেজিতে ৫টাকা বেড়েছে করলার দাম। অন্যদিকে লেবু হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। যা আগে ছিলে ২০-২৫ টাকা। হলুদের গুড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল অন্য মসলার দাম।

---

ক্রেতারা আকবর, সোলাইমান ও নিয়াজ বলেন, প্রতিদিনই কোন পন্যের দাম বাড়ছে, এতে নি¤œ ও মধ্যবৃত্ত মানুষের অবস্থা খুবই নাজুক। বাজার মনিটরিং জরুরি।

এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থীতিশীল থাকলেও মাছের দাম আকাশ ছোয়া। নদীতে দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে মিলছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। কিন্তু সেসব মাছের দাম আকাশ ছোয়া। রুই- কাতাল কেজি প্রতি বিক্রি হচাছে ৬০০ টাকা, কই, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা। ছোট মাছ বিশেষ করে কাচ্চিগুড়া, মলন্দা মাছ কেজিতে ৪০০ টাকা। বেড়েছে পাঙ্গাস মাছের দামও। তবে স্থিতিশীল বয়লার, সোনালি মুররি। তবে বৃদ্ধির দিকে দেশী মুরগির ও ডিমের দাম। দেশী মুরগির ডিম হালি প্রতি ৭৫ টাকা, বয়লার ৪০ টাকা এবং হাসের ডিম হালি প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, সব ধরনের মাছ কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।

ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় বাজার করতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। তাদের বাজার মনিটরিয়ের দাবী তাদের।

এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, নিত্যপন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশী মূল্য বিক্রির সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০:৫২:২৬   ৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল



আর্কাইভ