স্টাফ রিপোর্টার ॥
দ্বীপজেলা ভোলার দুর্গম উপজেলা মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে জমিজমা বিরোধের জেরধরে গত বুধবার দুপুর ১টার দিকে শরীফের নেতৃত্বে রুহুল আমিন মাস্টারের বাড়িতে লাঠি, লোহার রড, দাসহ একদল দুর্বৃত্ত জোরপূর্বক রুহুল আমিন মাস্টারের বাড়ির গাছ কাটার চেষ্টা চালায়। এ সময় রুহুল আমিনের বিবাহিত মেয়ে দুই সন্তানের জননী মরিয়ম দুর্বৃত্তদের গাছ কাটতে বাধা দিলে শরীফ (২৬), হেলাল (৩২), হাবিবুল্লা (৬৫), মানিক (৫৫), শাহাবুদ্দিন (২৮), জাকির (৪৫), কামাল (৫০)সহ প্রায় ১০-১২ জন মরিয়ম শিমুর পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি লাথি মেরে ঘুসি দিয়ে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে।
মরিয়মের পিতা রুহুল আমিন মাস্টার জানায়, তার মেয়ে মরিয়ম শিমু তিন মাসের অন্তঃসত্তা। দুর্বৃত্তদের আঘাতে মরিয়ম শিমুর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। এ সময় মরিয়ম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জানুয়ারি ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ২৪ তারিখ ছাড়পত্র দিলে বাড়ি যায় মরিয়ম।
তারপর দিন ব্লাডিং হয়ে তিন মাসের বাচ্চা গর্ভপাত হয় মরিয়মের। এই ঘটনার পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনরায় ভর্তি করা হয় মরিয়ম শিমুকে।
পরে ৪ ফেব্রুয়ারি মরিয়মের অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন । বর্তমানে মরিয়ম অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৯১নং বেডে। এদিকে মরিয়ম মনপুরা থানায় একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি হুমকি দিয়ে আসছে রুহুল আমিন মাস্টারকে। ঘটনাটি মনপুরা উপজেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মারামারির পর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মরিয়মের ব্লাডিং হওয়ার পর মৃত সন্তান গর্ভপাত ঘটে। ভিকটিম মামলা করতে আসলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৪:৫১ ৩০৯ বার পঠিত