প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোলায় সফলরত বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভোলার গ্যাস রক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই ভোলার পৌর এলাকায় প্রতিটি পরিবারে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে সিরামিক কারখানা সিলটেক কার্যালয়ে নাগরিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান শিক্ষক কামরুল হাসান হিরন মন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। মন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেছেন ভোলার গ্যাস জাতীয় সম্পদ হলেও গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোলা প্রাধান্য পাবে এবং খুব শীঘ্রই এলাকায় প্রতিটি পরিবারে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। ওই সময় একই সাথে শিল্পমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী কাছে হস্তান্তর করেন। নেতৃবৃন্দ ভোলায় বৃহৎ সারকারখানা স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ভোলার প্রতিটি ঘরে হোটেল রেস্তোরাঁ ও ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার বন্ধ করে গ্যাস সংযোগ দেয়ার দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ভোলা হচ্ছে উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্যের এলাকা। ভোলা থেকে প্রতি বছর পাঁচ লাখ টন খাদ্য ভোলার বাহিরে যায়। ভোলার ২০ লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধায় তারা সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনেরও দাবি জানান। স্মারকলিপিতে ভোলা ও বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ইন্ট্রাকো সুন্দরবন চুক্তি বাতিল করে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪২:৩০ ১৫৪ বার পঠিত