মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি থেকে

প্রচ্ছদ » ভোলা সদর » মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি থেকে
শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩



---

।। কবি নাসির আহমেদ।।

সময়টা ২৫শে মার্চের এক দেড় মাসের মধ্যেই হবে। একদিন সকালে ভোলায় গিয়েছি। বরিশাইল্যা দালানের সামনে থেকেই শুনলাম গোলাগুলির শব্দ। অনেকের মতো কৌতূহলী হয়ে নতুন বাজার পার হবার পরে ভিড় করা লোকের সঙ্গে দাঁড়ালাম। এখন যেখানে নিরালা হোটেল তখন ওখানে ছিল একটি ফ্যাক্টরি। সবাই বলছে, ট্রেজারির সামনে গোলাগুলি হচ্ছে। কিসের গোলাগুলি এ নিয়ে গুঞ্জন। সবার মধ্যে আতঙ্ক। এরই মধ্যে দেখলাম, ট্রেজারি পুকুরপাড়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে শুয়ে পড়েছে। আমরা দৌড়ে ঘরের আড়ালে দাঁড়ালাম। হঠাৎ দেখি আমাদের পাশের বাড়ির (মজু মোল্লা বাড়ির) ফজলু উপুড় হয়ে পড়ে গেছে। সেখানে একটা ডিপ টিউবওয়েল আছে। জেলের কয়েদিরা সেখান থেকে পানি বহন করত। কলের কাছাকাছি। পরে গোলাগুলি থামলে আমরা সবাই ফজলুর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাই। ফজলু অত্যন্ত গরিব একজন দিনমজুর। লাকরি বিক্রি করত ভোলা গিয়ে।

সেদিনও লাকরি নিয়ে গিয়েছিল। কিছু না বুঝেই গিয়েছিল কী হচ্ছে দেখতে। ভোলার মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে যে ক’জন শহীদ তাদের একজন ফজলু। তার কথা কেউ মনে রেখেছে কি না জানি না। আমি আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এর (আকুলতা শুভ্রতার জন্য) একটি কবিতা লিখেছিলাম ‘ফজলুর কবরে ফুটল নামহীন বনফুল’।

একাত্তরে একটা খাতায় আমি প্রতিদিনের রক্তাক্ত অনুভূতি লিখতাম। কখনো ছন্দে, কখনো পদ্যে। অনেক বছর পর সেই বিবর্ণ পাতাগুলো উদ্ধার করে বেশ কিছু পরিমার্জনা করে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করি। যার শিরোনাম “একাত্তরের পদাবলী”। সেখানে চিত্র আছে যুদ্ধদিনের। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এবং যুদ্ধদিনের অনেক টুকরো স্মৃতি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সেই গোলাগুলির ঘটনায় একজন তরুণ বাঙালি আর্মি অফিসারসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছিল। পরে শুনেছি ট্রেজারির টাকা লুটে নিয়ে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের জন্য ফান্ড গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সূচনালগ্নে মুক্তিযুদ্ধে ভোলার নেতৃত্বে ছিলেন যারা, তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়া এই অভিযান হওয়ায় নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেই নিহত হন তাঁরা। এ বড় বেদনাদায়ক একটি মর্মান্তিক ঘটনা মনে আছে এর মাত্র কয়েকদিন পরেই ভোলায় পাকিস্তানি আর্মি আসে এবং ওয়াপদা কলোনির ভেতরে তারা ক্যাম্প করে। এর আগে একাধিকবার আর্মি আসছে, এমন গুজব রটেছিল। তাদের প্রতিরোধ করতে শিবপুরের চৌকিঘাট এবং ভোলা খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন প্রবেশমুখে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়েছিল।

একাত্তরের স্মৃতির মধ্যে কত যে টুকরো টুকরো ছবি ভেসে ওঠে আজ মনের পাতায় তার শেষ নেই। অক্ষমতার গ্লানিতে রক্তাক্ত হই নিজের মধ্যে। কোনো ক্লু পাইনি, কীভাবে কোথায় গেলে যুদ্ধের সৈনিক হওয়া যাবে। কত জনকে জিজ্ঞেস করেছি পাত্তা পাইনি। ১৮ বছরের সেই আমাকে ১০/১২ বছরের অবুঝ বালকের মতো দেখাতো। চরছিফলী সরদার বাড়ি অর্থাৎ আমার মায়ের মামা বাড়িতে গিয়ে শুনি যে, আব্দুর রহমান মামা ও সিদ্দিক মামা যুদ্ধে গেছেন। আব্দুর রহমান ছিলেন নামকরা ফুটবলার। আমার মায়ের খালাতো ভাই কাসেম মামাও মেডিকেল কোরে চাকরি করতেন। ছুটিতে এসেছিলেন। শুনেছি তিনিও যুদ্ধে গেছেন। কিন্তু কোথায় জানা যায়নি। এরই মধ্যে ভোলার বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড় চলছে। ধরে নিয়ে নাকি ওয়াপদা ক্যাম্পে রাখে। তারপর মেরে ফেলে। এরকম খবর প্রতিদিন শুনি। আব্বা আওয়ামী লীগের সমর্থক। মসজিদে পাক সেনাদের উপর গজব নাযিল হোক, এই দোয়া করেন। একদিন আমার চাচা আজহার মাস্টার আব্বাকে বললেন, ধরা পড়লে শেষ। বুইঝা হুইনা কথাবাত্রা কইও। আব্বা পালিয়ে থাকেন সেই থেকে। রাতে ঘরে ঘুমান না ভয়ে।

ভয়ে মা আমাকেও ঘরে রাখেন না। ঘুমাই গিয়ে একেক দিন একেক বাড়ি, অথচ মনের মধ্যে অস্থিরতা….. আহা যদি যুদ্ধে যেতে পারতাম। একদিন আলীনগর কাচারিতে আমার মায়ের খালাতো ভাই আজিজুল ইসলাম তহশিলদার বাড়িতে ঘুমাতে গেছি। অনেক রাতে দেখি আবুল কাসেম মামা আজিজ মামার সঙ্গে ফিসফিস করে কী যেন পরামর্শ করছেন। আমি ভয়ে ভয়ে কাছে যাই। কাসেম মামা রাগতস্বরে বললেন, এই রে এত রাতে কী করছ, ঘুমাস না কেন? আমি চুপ করে থাকি। মামা ধমক দিয়ে বলেন, কি কিছু কবি? আমি বলি, মামা আমনে বলে যুদ্ধ করেন, আমারে নিবেন? আজিজ মামা বলেন, হোনছো কাশেম কয় কি? কে কইছে তোরে এইসব কথা? আর কোনো দিন যেন না হুনি এইসব কথা। ইট্টুহানি পোলায় কয় কী? অয় বোলে যুদ্ধ করব! যা বেটা ঘুমা গিয়া। অপরাধীর মতো চলে আসি। ডাক্তার বাড়ি আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। বড় আপার কাছে শুনি পূবের ঘরের আবুল বাশার যুদ্ধে গেছে। বাসার হচ্ছে আমার দুলাভাইয়ের ভাইপো। তার খোঁজ করি পাই না।

একদিন ভোলা গিয়ে শুনি আমার এ রব হাইস্কুলের অসাধারণ মেধাবী সহপাঠী জিয়াউল কুদ্দুসও যুদ্ধে গেছে। ও নাকি লালমোহন-চরফ্যাশন যুদ্ধ করে। শুনে মনে মনে অনুতাপ হয়। আহারে আমার সঙ্গে যদি দেখা হতো! মনে পড়ে কবিরউদ্দিন প-িতের কথা। দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের এই লোকটির আগ্রহের কোনো ঘাটতি ছিল না। তার ছেলে কুদ্দুস যুদ্ধে গিয়েছিল। একদিন হঠাৎ গজারিয়া হাটে বাসায় মামার সঙ্গে দেখা। আমি বলি মামা, আমনে নাহি যুদ্ধ করেন। আমার মুখ চেপে ধরে বলেন, খবরদার…. মামা এই কথা যেন আর না শুনি কোনদিন। কে কইছে তোমাগোরে এই কথা? পোলাপান মানুষ এইসব কথায় কান দিও না, ক্ষতি অইবো। মুক্তিযোদ্ধারা এভাবেই নিজেদের লুকিয়ে রাখেন, তখন কে জানত। শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় গেরিলা কোথায় থাকে, দেখতে কেমন বলে যে অনুসন্ধিৎসা প্রকাশ করেছিলেন, আজ বুঝি কী গভীর বাস্তব ছিল সেই প্রশ্ন।

এভাবে একাত্তরের প্রতিটি দিনরাত্রি বুকের মধ্যে অক্ষমতার রক্তক্ষরণ নিয়ে জয় বাংলা ধ্বনি-প্রতিধ্বনি শুনেছি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের চরমপত্র, নাটক, জল্লাদের দরবার ইত্যাদি শুনতে শুনতে কল্পনাপ্রবণ মন চলে যেত সেই অদেখা জগতে। দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সংবাদ প্রবাহ পড়তেন আকাশবাণী থেকে শরণার্থীদের কষ্টের হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিতেন, আমার ভেতরে যে কি তীব্র আবেগ সৃষ্টি হতো তা বোঝাতে পারবো না। সেই রেডিও শোনা ছিল তখন গুরুতর অপরাধ, পাকসেনা আর তাদের দোসর রাজাকারদের কাছে। তাই স্লো ভলিয়মে বাড়ির পেছনে বাগানের মধ্যে অন্ধকারে সবুজ রঙের প্লাস্টিক বডির ছোট এনইসি রেডিওটা নিয়ে আমরা বসতাম। বিভিন্ন জেলার মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ শুনতাম। মুক্তিযোদ্ধারা খানসেনাদের খতম করছে শুনলে কি যে ভালো লাগতো। কয়টা গানবোট কোথায় ডুবিয়েছে, কোথায় খানসেনারা জীবিত ধরা পড়েছে, এই সব শুনে দারুণ উদ্বুদ্ধ হই। এ অবস্থায় ঘটে যায় আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বড় নরহত্যার একটি ঘটনা। আলীনগর নাইচা মৌজার সূর্য ডাক্তার আর শশী ডাক্তারদের বাড়ি অর্থাৎ বৈদ্যবাড়িতে গভীর রাতে পাকবাহিনী হানা দেয় রাজাকারদের সাহায্য নিয়ে। মেয়েদের নাকি ওয়াপদা নিয়ে যায়। সম্ভবত তখন শ্রাবণ-ভাদ্র মাস। মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল সে সময়। রাতে ওয়াপদা ক্যাম্পে নিয়ে রাখে। পরদিন সন্ধ্যায় নাকি ওই একই বাড়ির ১২/১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল, খেয়াঘাটে লাইনে দাঁড় করিয়ে। এদের মধ্যে বুড়ির বাপসহ অনেককেই চিনতাম। শশী ডাক্তারের ছেলে আর তার কিশোর ছেলে বিমলকেও নাকি ধরে নিয়েছিল সেই রাতে। শুনেছি ওরা দু’জন নাকি গুলি করার সময় অন্ধকারে বেঁচে গিয়েছিল, রাতের অন্ধকারে হাতের দড়ির বাঁধন ছিঁড়ে পালিয়েছিল। একই রাশিতে বাঁধা ছিল লম্বা করে সবাই। ভাগ্যগুণে হয়তো বেঁচে ছিল। লোকমুখে এও শুনেছি আকাশবাণীতে নাকি ওদের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছিল। তবে চিত্রনায়িকা কবরীসহ পালিয়ে যাওয়া অনেকের সাক্ষাৎকার শুনেছি সেই দুঃসহ দিনগুলোতে।

ভোলায় অনেক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাবাজারে একবার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তখন অক্টোবর অথবা নভেম্বর হবে। কিছুটা শীত পড়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ শহীদ হয় সেখানে। পরদিন দেখতে গিয়েছিলাম অনেক লোকের সাথে পায়ে হেঁটে। গুলির চিহ্ন, রক্তের দাগ দেখেছি। লাশগুলো দেখিনি, শুনেছি শুধু। ঘুইংগারহাটে যুদ্ধ শুরু হল। প্রচ- গুলির শব্দ, আমরা কয়েকজন পালিয়ে চলে যাই উত্তর দিঘলদী নকতির দীঘিরপাড় পর্যন্ত। সেখানে ঘন জঙ্গল ঘেরা বাগানের মধ্যে দাঁড়িয়ে শুনি আমাদের সামনেই যুদ্ধ হচ্ছে, এত প্রচ- শব্দ। নকতির দীঘিরপাড়েই একেবারে কিশোর ছেলে শাহ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হলো। মনু সরদারের ছেলে শাহ আলম। মুরুব্বিদের কয়েকজন আমাদের গালি দিল ওখানে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকায়। পরে ধানক্ষেতের আড়াল দিয়ে নুয়ে নুয়ে দেখতে যাই, কোথায় যুদ্ধ? ততক্ষণে যুদ্ধ শেষ। গিয়ে দেখি অস্ত্র হাতে কয়েকজন ঘুইংগারহাটের অহন বাড়ির পাতা বনের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। দু’টি তরুণের লাশ পড়ে আছে রাস্তার পাশে। সবাই বলছিল এরা বরিশাল থেকে আসছিল যুদ্ধ করতে। একজনের বাড়ি নাকি ফরিদপুর। ওখান থেকে ফিরে আসি রাতের অন্ধকারে।

টনির হাট, লালমোহন, চরফ্যাশন কত জায়গায় যে যুদ্ধ হচ্ছে সে সব ঘটনা শুনি লোকের মুখে মুখে। এভাবে ঘনিয়ে আসে ডিসেম্বর। প্রচ- শীত পড়ছে তখন। এ রকম সময়ই একদিন শুনি পাকবাহিনী নাকি পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। মামাদের বাড়ির দক্ষিণ দিকের রাস্তায় শুনি তীব্র স্লোগান ‘জয় বাংলা’। লোক দলে দলে দৌড়াচ্ছে স্লোগান দিয়ে। আমরা কয়েকজন তাদের অনুসরণ করে দৌড়াচ্ছি কেবল দক্ষিণ দিকে। সবার হাতে হাতে লাঠি-রামদা-রড। আমরা গাজী বাড়ির সামনে থেকে কয়েকটা আমের চেলাকাঠ তুলে নেই হাতে। গজারিয়াহাট পর্যন্ত গিয়ে দেখি গজারিয়া হাটের দিকে মানুষ ছুটছে। তখন দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। ধানক্ষেতের মধ্যে দু’জন পাকসেনাকে পেটাচ্ছে মানুষ। ওদের গুলি শেষ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে অনেকে বলতে লাগল রাস্তা দিয়ে ওরা পালাচ্ছে। ধর শালার পুতেরে, চিৎকার দিয়ে অনেকের সঙ্গে আমরাও দৌড়াই। এভাবে প্রায় ৭/৮ মাইল ঘুরে ভোলার নতুন বাজার যখন গেছি তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। প্রায় ১৫/২০ জনের একটা পাক সেনাদলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা। নতুন বাজার গিয়ে শুনি ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে স্লোগানে মুখর সব। লোকে লোকারণ্য। বন্দী ঘাতক পাক হানাদার সৈন্যদের গায়ে কম্বল জড়ানো। ক্ষিপ্ত লোকজন মারধর করতে উদ্যত। মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে শান্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই যেন বাঁধ মানে না। এর মধ্যে এদের ঘিরে দাঁড়ানো মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন- বল শালারা ‘জয় বাংলা’। ওরা আতঙ্কিত দৃষ্টিতে তাকায়। বন্দুকের বাট দিয়ে ধাক্কা মেরে আবার বলে, বল ‘জয় বাংলা’। ওরা বলে ‘যো বাংলা’। আমরা হো হো করে হেসে উঠি এই নরপশুদের এই দশা দেখে। অনেক রাতে বাড়ি ফিরে উল্লাস করি সবাই। স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রতিদিন বিভিন্ন থানা, জেলা হানাদারমুক্ত হবার খবর দেয়। আমাদের উল্লাস বাড়ে। এর প্রায় ছয় সাত দিন পর একদিন শুনি দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। সে কী উল্লাস মানুষের! যেদিন ভোলায় পাক বাহিনী সারেন্ডার করে, তার দু’চারদিনের মধ্যেই মোহাম্মদ টনিসহ অনেকে ধরা পড়তে থাকে। ভোলার ওয়াপদা পুকুরে আলকাতরা মেখে উদোম গা দোর্দ- প্রতাপশালী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ টনিকে ডুবসাঁতার দিতে দেখি। আহ সে কী উল্লাস মানুষের কোন দিন ভোলা যাবে না সে স্মৃতি। সেই আনন্দ মাটি হয়ে যায় দু-একদিনের মধ্যে যখন আবিষ্কৃত হয় ওয়াপদার দেয়াল সংলগ্ন বদ্ধ্যভূমি। কত মানুষের লাশ! কঙ্কাল! হায় স্বাধীনতা!!

লেখক: কবি নাসির আহমেদ

বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময়: ২২:০৪:৪৫   ১৫৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ভোলা সদর’র আরও খবর


ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোলায় সমাবেশ
ভোলায় ৬ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের স্মারকলিপি
ভোলায় শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ পালিত
ভোলায় দিনমজুরদের শীতল পানি ও স্যালাইন বিতরণ করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে ভোলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোলায় তিন উপজেলার ৩৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কেউ গুজবে কান দিবেননা ভোটারদের উদ্দেশ্যে: চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইউনুছ



আর্কাইভ