তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥
পাওনা টাকা তুলতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী। পরে মুক্তিপণের টাকার জন্য দেয়া বিকাশ নম্বর ট্রাকিং করে বিকাশ ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ। এঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়েরের অপহরণের শিকার ব্যবসায়ী।
অপহরণের শিকার ব্যবসায়ীর স্বজনরা জানান, চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন দাদনের টাকা তুলতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর এলাকায় যায়। এসময় জেলেদের কাছে দাদনের পাওনা টাকা চাইলে তারা কৌশলে মৎস্য ব্যবসায়ীদেরকে অপহরণ করে একটি নির্জন এলকায় নিয়ে আটক করে দড়ি দিয়ে হাতে-পায়ে বেঁধে এলাপাতাড়ি মারপিট করে এবং তাদের স্বজনদের কাছে ফোন দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। তাৎক্ষনিক তারা অপহরণের বিষয়টি তজুমদ্দিন থানা পুলিশকে জানান। পরে অপহরণকারীদের দেয়া বিকাশ নম্বরে ৭০ হাজার টাকা দেন অপহরণের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের স্বজনরা। পরে পুলিশ তৎপর হয়ে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন এবং বিকাশ নম্বরটি ট্রাকিং করে বিকাশ ব্যবসায়ীসহ ৩জনকে আটক করেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাবাদ শেষে ছেড়ে দেন। মামলা দায়েরের পর সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামী রিয়াজকে আটক করেন। আটক রিয়াজকে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপহরণের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে তজুমদ্দিনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, রিয়াজ, শাকিল, আল-আমিন, সবুজ, শাহিন শিপন। মামলা নং ০৪।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হক বলেন, অপহরণের ঘটনায় আনোয়ার হোসেন একটি এজহার দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম বিল্লাহ স্যারের নেতৃত্বে রাতভর অভিযান চালিয়ে এজহারনামীয় আসামী রিয়াজকে আটক করে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:০২ ১৩৩ বার পঠিত