গাজার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এখন অভুক্ত: জাতিসঙ্ঘ

প্রচ্ছদ » আন্তর্জাতিক » গাজার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এখন অভুক্ত: জাতিসঙ্ঘ
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩



---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥

জাতিসঙ্ঘের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় এখনো যুদ্ধ চলছে, এবং সেখানকার অর্ধেক জনগোষ্ঠীই প্রচ- খাদ্যাভাবে আছে।

জাতিসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ বলেছেন, এখানে প্রতিদিন মোট যে পরিমাণ খাদ্য সাহায্য দরকার তার খুব সামান্য পরিমাণই কেবল এখানে প্রবেশ করতে পারছে। গাজায় প্রতি দশজনের নয়জনই দৈনিক ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি ‘প্রায় অসম্ভব’ করে তুলেছে বলে জানান স্কাউ।

ইসরাইল বলছে, তারা হামাস নির্মূলে ও তাদের বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে।

ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স-আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রিচার্ড হেক্ট শনিবার বলেন, ‘যেকোনো মৃত্যু এবং বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ খুবই কষ্টের, কিন্তু আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকার যতটা সম্ভব ভেতরে প্রবেশের জন্য আমাদের যা করা দরকার আমরা তার সবই করছি।’

এক ভিডিওতে দেখা যায় আইডিএফের চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভি তার সৈন্যদের বলছেন ‘আক্রমণের ধার আরো বাড়াতে’ কারণ ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণ করছে, যাতে বোঝা যায় তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ছে।’

অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলের কাছে ১০৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রায় ১৪ হাজার রাউন্ড ট্যাঙ্কের গোলাবারুদ বিক্রি করার জন্য এক জরুরি আইন ব্যবহার করে কংগ্রেসে সেটি পাস করিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের কড়া সীমান্ত নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১ হাজার ২০০ জন ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে।

এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে, সেখানে বিমান হামলা শুরু করে এবং গাজায় প্রবেশাধিকার একেবারে সীমিত হয়ে পড়ে।

সেখানে সাহায্য বহনকারী পরিবহন যার ওপর গাজাবাসী প্রচ- নির্ভরশীল তার চলাচলও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইল গাজায় ১৭ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ৭ হাজারের বেশি শিশু।

শুধুমাত্র মিশরের রাফাহ সীমান্ত এখন পর্যন্ত খোলা আছে, যেখান দিয়ে অল্প কিছু সহায়তা ঢুকছে।

চলতি সপ্তাহে ইসরাইল কেরেম শ্যালম সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র ত্রাণবাহী লরি পরীক্ষা করে দেখার জন্য। এখান থেকে ট্রাকগুলো পরে রাফাহ দিয়ে গাজায় ঢুকবে।

স্কাউ বলেন, গাজায় এসে তিনি ও তার ডব্লিউএফপির দল ‘যে ভীতি, বিশৃঙ্খলা আর হতাশার মুখোমুখি হতে হয়েছে’ তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তারা।

তিনি বলেছেন, তারা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন ‘গুদামের জিনিসপত্র নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার, সেসব বিতরণ করতে গিয়ে হাজারো মরিয়া ক্ষুধার্ত মানুষের, সুপারমার্কেটের শূন্য তাক ও আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের অতিরিক্ত চাপে উপচে পড়া বাথরুমের।’

আন্তর্জাতিক চাপ এবং গতমাসে সাতদিনের একটা সাময়িক যুদ্ধবিরতি গাজার জন্য ভীষণ দরকারি, কিছু জরুরি সাহায্য ঢোকার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু ডব্লিউএফপি মনে করে এই মূহুর্তে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আরেকটা দ্বিতীয় সীমান্ত খুলে দেয়া খুবই জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫২:৫২   ১১২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


অষ্ট্রেলিয়া ডে পুরষ্কার পেলেন নেহাল নাফসি রুপাই
অষ্ট্রেলিয়া ডে পুরষ্কার পেলেন নেহাল নাফসি রুপাই
গাজায় প্রতি ঘণ্টায় দুজন মায়ের মৃত্যু: জাতিসংঘ
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬৫ ফিলিস্তিনি
বিদ্রোহীদের হামলা: ভারতে পালাল মিয়ানমারের ৬০০ সেনা
এবার ইরানকে যে হুশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু
রাশিয়ার জন্য নতুন ড্রোন বানাল ইরান, ব্যবহৃত হবে ইউক্রেনে
‘গাজায় জীবন বাঁচানোর কোনো কিছু নেই’
‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির চেয়েও গাজার ধ্বংসযজ্ঞ বড়’
গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের জরুরি সভা



আর্কাইভ