স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমানের ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৩)কে রাতের অন্ধকারে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দোকানে মালামাল আনার জন্য বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সাদ্দামের পথরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি মারধ করে নাহিদ, জিসান, আঃ রহমান, নোমান, শান্তসহ ৭/৮জন হামলাকারী। এসময় তারা সাদ্দামের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়।
জানা যায়, মোঃ সাদ্দাম হোসেন এর সাথে বিগত কয় এক মাস ধরে নাহিদ, জিসান, আঃ রহমান, নোমান, শান্ত গংদের সাথে চাঁদা দাবীকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতা শুক্রবার রাতের বেলা দোকানের মালামাল আনতে বাংলাবাজার যাওয়ার সময় নগদ টাকা দেখে অন্ধকারে সাদ্দামকে পথরোধ করে নাহিদ, জিসান, আঃ রহমান, নোমান, শান্তসহ ৭/৮জন এলোপাতাড়ি মারধর করে। সাদ্দাম হোসেনের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোক জন ছুটে আসলে হামলাকারীরা নগদ টাকা ও মোবাইল নিয়ে চলে যায় পালিয়ে যায়। আহত সাদ্দাম হোসেনকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
হামলার শিকার সাদ্দামের পিতা বলেন, আমি সাদ্দাম হোসেনকে দোকানের মালামাল আনতে ২,৬০,০০০/- দিয়ে বাংলাবাজার পাঠাই। হঠাৎ করে সন্ধ্যার সময় আমার কাছে একটা ফোন আসে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে গেলে দেখি সাদ্দামকে পিটিয়ে আহত করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। আমি সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার কাছে চাঁদা চায়, না দেওয়া আজ আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমি এর আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মারধরের বিষয় অভিযুক্ত গংদের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন না বলে জানান।
মারধরের বিষয় চরখলিফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:০৯ ১০৫১ বার পঠিত