বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সিত্রাংয়ের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও কাঁদায় মফিজলের পরিবারকে

প্রচ্ছদ » জেলা » সিত্রাংয়ের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও কাঁদায় মফিজলের পরিবারকে
বুধবার, ১৭ মে ২০২৩



স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ভয়াবহ তা-বের দুঃসহ স্মৃতি আজ কাঁদায় ভোলার নিহত মফিজলের পরিবারের সদস্যদের। সেই দিনের সেই স্মৃতি আজ ভুলতে পারছেন না তারা। ঝড়ের রাতে বসত-ঘরের নিচে চাপা পড়েন মফিজল, তার স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ, দুই নাতিসহ ৬ জন। অলৌকিকভাবে পাঁচজন বেঁচে গেলেও মারা যান মফিজল হক। ঘূর্ণিঝড় মোখার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মফিজলের পরিবারের সদস্যরা। মফিজল হক ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল মেকার বাড়ি বাসিন্দা ছিলেন।

---

নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলে সবুজ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে প্রচন্ড বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই রাতে মফিজল হক সামনের বারান্দায় নাতি সিফাতকে নিয়ে বসে ছিলেন। আর মাঝ ঘরে কহিনুর বেগম, ছেলে সবুজ ও তার স্ত্রী, তাদের ছোট ছেলেকে নিয়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ তাদের ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে ঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দ্রুত ঘর থাকা কহিনুর বেগম, সবুজ ও তার স্ত্রী ছোট ছেলেকে নিয়ে বের হয়ে যায়। পরে দ্রুত তারা মফিজল হক ও সিফাতকে উদ্ধার করতে যান। গিয়ে দেখেন সিফাত সামান্য আহত হলেও মফিজল হক ঘরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাই ঝড় এলেই সিত্রাংয়ের পরে মনে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় মোখার খবরে আমাদের সেই দিনের স্মৃতি মনে পড়ে।

তারা আরও জানান, ঝড়ে আমাদের পরিবারের কর্তাব্যক্তিকে হারিয়েছি। আমরা বুঝি হারানোর কষ্ট। ঝড়ে যাতে আর কাউ পরিবারের সদস্য না হারায়। সে জন্য ভ্যানচালক সবুজ ধারদেনা করে হলেও ঘর পাকা করেছেন। এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সহায়তা পেলে ধারদেনা পরিশোধ করে বাকি কাজ করতে পারতাম।

সেই দিনের ঝড়ের স্মৃতিচারণ করে রিকশা মেকানিক আবু সেলিম বলেন, সেদিন ঘর ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে উঠানে চলে যাই। সবাই অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেলেও সেই স্মৃতি মনে পড়লে আজও আঁতকে উঠি।

ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসার কয়েকদিন আগ থেকেই আমরা মানুষদের সচেতন করে থাকি। আমাদের সিপিপির সদস্যরা ঘূর্ণিঝড়ের মহা বিপৎসংকেত হলেই ২৪ ঘণ্টাই ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ করে থাকে। বর্তমানে সরকারের নানা পদক্ষেপে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৫:৩৯   ১৭১ বার পঠিত