চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আসমা বেগম ওরফে ঝুমুর (২৩) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর শশুর শাশুরী ও স্বামীকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মো. রাকিব হোসেনের স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। ঝুমুর চরফ্যাশন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মো.রুহুল আমিনের মেয়ে ও এক কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন।
নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি ফাতেমা জানান, ঝুমুর ও তার স্বামী রাকিব আলাদা ঘরে থাকেন। ঘটনার দিন রাকিব কাজে যান। ঝুমুর তার ছেলেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরেই ছিলেন। হঠাৎ নাতির কান্নার শব্দ শুনে তিনি ঝুমুরকে ডাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। তখন তিনি বাইরে থেকে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করেন এবং দেখতে পান ঝুমুর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। আর বিছানায় কাঁদছে নাতনি। পরে তার চিৎকার চেচামেচিতে আশপাশের লোক ছুটে গিয়ে ঝুমুরকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে কী কারণে ঝুমুর ফাঁস দিয়েছেন তা তিনি জানেন না।
এদিকে নিহত গৃহবধূর বাবা রুহুল আমিন অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী রাকিব ও তার পরিবার ঝুমুরের সাথে অসদাচরন করে আসছে।প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত করা হত।
ঝুমুরকে বাবার বাড়িতে আসতে দিত না।গত শনিবার সকালে ঝুমুর তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়।পরে রবিবার স্বামী রাকিব তাকে ফোন করে বাসায় যেতে বলে, সে রবিবার না গিয়ে সোমবার বিকেলে বাসায় যায়।পরে স্বামী রাকিব তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। এ অপমান সইতে না পেরে ঝুমুর গলায় ফাঁস দিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহামান পাটোয়ারী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৭:০২ ২০৫ বার পঠিত