বিশেষ প্রতিনিধি ॥
বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এসময় এমভি আওলাদ লঞ্চে লুট পাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাত ১১টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধার নেয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে রাত ১২টার সময় ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটে ভোলা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমভি আওলাদ লঞ্চে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
এমভি আওলাদ লঞ্চের মালিক ও ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার মালিকানাধীন লঞ্চে ভাংচুর করে এবং লুট পাট করেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার ভোরের পরে ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে আর কোনো লঞ্চ ও স্পিডবোট ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রয়োজনের তাগিদে ঘাটে এসেও ফিরে গেছেন অনেকে। বর্তমানে পুরো ঘাটই একদম ফাঁকা হয়ে গেছে।
ভোলা লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি জানান, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা হতে পারে। এমন আশংকায় তারা লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
লঞ্চ মালিকরা আরো বলছেন, সকাল থেকে ভোলা থেকে বরিশালের উদ্দেশে কোন লঞ্চ যাচ্ছেন না। তাদের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় হামলা হতে পারে। তাই নৌ-যানের নিরাপত্তায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরী রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য কিছু বোট চালু থাকবে। সব কিছু নির্ভর করছে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর অভিযোগ করেন, বরিশালে বিএনপির সবাবেশকে কেন্দ্র করে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমভি আওলাদ লঞ্চটে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের প্রতিরোধ হামলা ও আটক করছেন। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে সকাল থেকে দেখা গেছে ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে শত শত বোট ও লঞ্চ। সেখানে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:৫৭ ৪১৭ বার পঠিত