লালমোহন প্রতিনিধি ॥
ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের জমিজমা বিরোধের জের ধরে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে, মেয়ের গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ডের মন্নান চৌকিদারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মেয়ের মা রানু বেগম বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় আঃ মন্নান চৌকিদার, পিতা মৃত আঃ মালেক, জাহাঙ্গীর, পিতা আবদুল হক সাহেব, সাদেক,পিতা মৃত লালু মিয়া, এবং খালেদা বেগম কে আসামী করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর সকাল বেলা, লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং মহেশখালী গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। রানু বেগম বলেন, আমার মেয়ে ফজিলত আর আমি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে জালের বেড়া কে কেন্দ্র করে আমার মেয়ে ও আমি কথা বলতেছি, এমন সময় মন্নান চৌকিদার’ আমার মেয়েকে মন্দ বাসায় কথা বলতেছে, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকলে মন্নান চৌকিদারের লাঠি নিয়ে আমার ঘরের চালের উপরে আগাত করে এবং ঘরের কপাট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমার মেয়েকে তার পেটে দুই তিনটা লাথি মারে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমাকেও মারতে থাকে।
পরে আমি আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করায় সেখানে গিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ের পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। দুইদিন পরে আমরা জানি মন্নান নিজেই আমাদের নামে একটা মামলা দায়ের করেছে, সেখানা সফিজল ইসলাম (৫৫), রুবেল (৩০), রানু বিবি (৪৫), নাজমা বেগম (৩৫), ইয়াসমিন, ফজিলত এব বিল্লালসহ ৭জনের নামে মিথ্যা মামলা করে।
এইদিকে ফজিলতের স্বামী এবং তার ভাই জানান ঘটনার দিন আমরা কেউই বাড়িতে ছিলাম না অথচ মন্নান চকিদার আমাদের মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে আমরা নাকি মারধর করেছ। অথচ আমরা কেউই বাড়িতে ছিলাম না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মন্নান চৌকিদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউকে মারি নি তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে, আমি সামনে গেলে হঠাৎ করেই আমাকে দা দিয়ে কোপ দেয়। তখন আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার পেটে বাচ্চা ছিল না এটা মিথ্যা কথা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২০:০৩ ২৬৬ বার পঠিত