লালমোহন প্রতিনিধি ॥
ভোলার লালমোহনে পরকীয়ার টানে নিজের স্ত্রীকে রেখে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও শাহারিয়া মুন্না বাবু নামের এক যুবক। লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলকার মোস্তফা কামালের ছেলে বাবুর সাথে, একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জামালের মেয়ে তামান্নার সাথে পারিবারিকভাবে ১৫-৬-২০২০ তারিখে বিবাহ হয়।
তামান্না অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই জানতে পারি আমার স্বামীর বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে আমার পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তারা আমাকে কাজের মেয়ের মত তাদের বাড়িতে রাখেন। আমার স্বামীর গভীর রাতে বাড়িতে আসে, মাঝে মধ্যে আসোনা, এবং বিভিন্ন মেয়েদের সাথে মোবাইলে কথা বলে এ বিষয়ে আমার শ্বশুর শাশুড়িকে বললে তারা কোন শাসন না করে উল্টো আমাকে শাসায়।
তারা বাবুকে আমার ওপর নানা ধরনের মিথ্যা কথা বলে চাপিয়ে দেয় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামী আমাকে একাধিকবার মারধর করে, যা নিয়ে কয়েকবার নিজেদের মধ্যে বিচার ফয়সালা হয় তবুও তার সেই নারীর নেশা কাটেনি।
বাবুর নির্যাতনের মাত্রা সইতে না পেরে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আমি গত ২১ই জুন ২০২২ ভোলা আদালতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি, মামলা নং ৩৯৭/২০২২।
এর ৫ দিন পর পার্শ্ববর্তী বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী বর্না নামের মেয়েকে নিয়ে পরকীয়ার টানে পাড়ি জমায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাবুর বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, আমার আমদের পুত্রবধুকে কখনো নির্যাতন করিনি। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে টুক টাক বিষয় নিয়ে ঝামেলা হতো, তা আবার পরে মিমাংসা হয়ে যেত। তবে গত কয়েকদিন আগে বন্যা নামের মেয়ের পরিবার পুলিশ নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে তাদের মেয়েকে খোঁজার জন্য আমরা সে ব্যপারেও জানিনা।
গত কয়েকদিন যাবৎ আমার ছেলের কোন খোঁজ খবর না থাকায় আমার আত্মীয় স্বজন দের নিকট ফোন দেই তাদের কাছেও সন্ধান না থাকায় পওে গত ২২-৬-২২ ইংতারিখে লালমোহন থানায় নিখোঁজ ডাইরি করি।
এই ঘটনায় তামান্না ও তার পরিবার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২০:৩৩ ৪০৫ বার পঠিত