আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ভোলায় আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আগামী ১১ জুন। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের নিয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল মোল্ল্যা, দোস্ত মাহমুদ, এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, এডভোকেট আশ্রাফ হোসেন লাভু, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সফিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।
আগামী ১১জুন আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভোলা জেলার ৭ উপজেলা ডেলিকেট ও কাউন্সিলদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনামুলক নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে মোট কাউন্সিলর সংখ্যা হলো ৩৫০ জন আর ডেলিকেট হলো ১৪০০ জন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, এবারের সম্মেলন হবে কাউন্সিল ও ডেলিকেটের মাধ্যামে। কে হবেন সভাপতি ও সম্পাদক তা একমাত্র ভোটারেরাই জানেন। আর জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ভোলায় কাউন্সিল উপলক্ষে আগত দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।
এবারের কাউন্সিলে কেমন নেতৃত্ব চাচ্ছেন তৃণমুল নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবারের কাউন্সিল হবে ভোলাবাসীর জন্য একটি চমক। কারণ ভোটারদের ভোটে যখন নেতা নির্বাচিত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা, তখন আমি জেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে আমার দাবি থাকবে যারা এতদিন কর্মী মুল্যায়নে ব্যর্থ এবং নেতা কর্মীদের আপদ-বিপদে খবর রাখেনা এমন কাউকে চান না কাউন্সিলর ও ডেলিকেট এবং তৃণমুল নেতা কর্মীরা।
তৃণমুল নেতা-কর্মীদের দাবি একজন নেতা এক পথে একাধিক বার থাকার ধরকার নেই। যাদের দ্বারা কর্মীর ভাগ্য উন্নয়ন হয় না তারা জেলা আওয়ামী লীগের থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। তৃণমুল নেতা-কর্মীদের দাবি, এবারের কাউন্সিল হল ভোলাবাসির জন্য একটি চমক, তারা চায় নতুন নেতৃত্ব।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোলা শাখার বিগত দিনে দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ ছিলেন এবং মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রস্তাব আনা হলে তা সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ হয়।
এদিকে সম্মেলন সফল করতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। করা হচ্ছে মিছিল। টানানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন।

বাংলাদেশ সময়: ১:০৩:৪৭   ৪৩০ বার পঠিত