তজুমদ্দিনে ঠিকাদরের গাফিলতিতে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত ॥ ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি

প্রচ্ছদ » তজুমদ্দিন » তজুমদ্দিনে ঠিকাদরের গাফিলতিতে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত ॥ ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি
সোমবার, ১২ জুন ২০১৭



---
গাজী আঃ জলিল/ হেলাল উদ্দিন লিটন, তজুমদ্দিন ॥
ভোলার তজুমদ্দিনে জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। রবিবার বিকাল ৫টায় মেঘনায় স্বাভাবিক চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের চাপে বালিয়া কান্দি এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি, দেওয়ানপুর ও ঘোষের হাওলা সোনাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁপড়ী ও ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। গত ২দিন ধরে এসব এলাকার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে মানেবতর জীবন যাপন করছে। এদিকে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সোমবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের  দ্রুত বাঁধ নির্মাণ ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ অহিদ উল্যাহ জসিমসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, চাঁদপুর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫২ দশমিক ৭০০  (চেইন) ৫৩ দশমিক ৪৫০ মিঃ (চেইন) বাঁধ নির্মাণের কাজ করে মোশারেফ হোসেন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এজন্য বরাদ্ধ দেয়া হয় ৯৪ লক্ষ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু করলেও কার্যাদেশ পায় ১ সপ্তাহ আগে। কাজ সম্পন্ন না করে বর্তমান অর্থ বছরে ৪০ লক্ষ টাকা বিলও প্রস্তুত করা হয়েছে। সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন না করে উক্ত ঠিকাদার বিলের জন্য তদবির করতে থাকেন। গতরবিবার জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হয়। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর (ডিভিশন-২) নির্বাহি প্রকৌশলী কাইছার আহাম্মেদ জানান, ঠিকাদারকে এত টাকা বিল দেওয়ার সুযোগ নেই। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করার দরকার হবে না। কারণ এর  বাইরে ৫ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফুল সেকশনের একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।
অভিযোগ রয়েছে প্রাক্কলন মোতাবেক সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন না করায় জোয়ারের চাপে বাঁধ ভেঙ্গে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় ৬ মাস আগে থেকে ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। এজন্য কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এরপরে টেন্ডারে অনিয়ম করে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মোশারফ হোসেন নামের ওই ঠিকাদার কাজটি নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে বাগিয়ে নেন। এছাড়াও কাজ চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির অভাব ছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোশারেফ হোসেন কার্যাদেশ পাওয়ার আগে কাজ শুরু করার কথা স্বীকার করলেও কাজে কোন অনিয়ম না হওয়ার দাবী করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:৪০   ৩৯৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

তজুমদ্দিন’র আরও খবর


তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩শ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক
ওমরাহ পাঠানোর নামে হাজী কামালের প্রতারণা
তজুমদ্দিনে সীমানা বিরোধের মামলায় ॥ ২১ বছর নির্বাচন বন্ধ মলংচড়া ইউনিয়নে
তজুমদ্দিনের মেঘনায় চিংড়ি মাছের রেনু আহরনের আড়ালে চলছে নানান প্রজাতির মাছের পোনা নিধন
তজুমদ্দিনে রাস্তা চওড়া করার নামে কাটা হবে ৮৫৬টি গাছ, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই ॥ পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে
তজুমদ্দিনে চাঁদা না পেয়ে দিনমজুর পরিবারের উপর হামলা
তজুমদ্দিনে উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ ॥ মাঠে নেই অন্যরা
তজুমদ্দিনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত



আর্কাইভ