চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥
দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য পাড়ি দিতে হয় নদীপথে। প্রতিদিন নানান কাজে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একমাত্র যাত্রীবাহন লঞ্চ। চরফ্যাসন বেতুয়াঘাট থেকে ছেড়ে যেত অনেকগুলো বিলাসবহুল লঞ্চ। সরকারের অনুমোদনকৃত চরফ্যাসনের বেতুয়া-ঢাকা রুটে প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যায়।হঠাৎ কর্তৃপক্ষের কারণে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। গত ১সাপ্তাহ যাবৎ বোরহানউদ্দিনের হামিমুদ্দিন ও তজুমদ্দিন ঘাট থেকে বেতুয়ার লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকা উদ্দেশ্যে। একইভাবে ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা ভোলাগামী যাত্রীদের মধ্যরাতে হামিমু™ঘাদিন কিংবা তজুমুদ্দিনে নামিয়ে দেয়া হয়। এতে চরম দূর্ভোগে চরফ্যাসনের হাজার হাজার যাত্রী। এরফলে লোকসান গুনছে বেতুয়াঘাট ইজারাদার।অসহায় হয়ে পড়ছে ঘাট শ্রমিকরা।
লঞ্চযাত্রী বশির মিয়া বলেন, বেতুয়া ঘাটে এমন কি দূর্যোগ চলছে যে, আজ পাঁচদিন হলো এই ঘাটে লঞ্চ আসা বন্ধ করে দিয়েছে। চরফ্যসনের যাত্রীরা ঢাকায় যাওয়ার জন্য ঝুঁকি নিয়ে হাকিমুদ্দিন ঘাটে গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। যাত্রীদের অভিযোগ সতর্ক সংকেত কি বেতুয়া ঘাটের জন্য! হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাটের চেয়ে অনেক শান্ত মেঘনার নদীর তীরবর্তী বেতুয়াঘাট। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার এমভি তাসরীফ-৩ লঞ্চের সুপার ভাইজার আলমগীর জানান, আবহাওয়ার খারাপ থাকায়, ঝূকিপূর্ণ ৩টি ঘাটে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:৫৮ ১১৬৪ বার পঠিত