২ জোড়া থেকে নকিবের খামারে এখন ১৪০০ কবুতর

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ২ জোড়া থেকে নকিবের খামারে এখন ১৪০০ কবুতর
বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১



ইমতিয়াজুর রহমান ॥
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের হাজী মো: নুর মোহাম্মদের ছেলে নকিব। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে কবুতর পালনের উৎসাহ পান তিনি। তখন বাবার সঙ্গে কবুতর নিয়ে খেলা করতেন। কে ভেবেছিল সেই ছোট্ট নকিব এক দিন কবুতরের খামার গড়ে তুলবেন? সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া নকিব ছোটবেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে শুরু করেন ২০১৪ সালে।

---

কবুতর খামারি নকিব রাঢ়ী জানান, পাশের গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে দুই জোড়া বাংলা কবুতর দিয়ে লালন-পালন শুরু করেন। ২০২১ সালে তার খামারে কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০০। খামারে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি কবুতর রয়েছে। তিনি এ সকল কবুতর দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে সংগ্রহ করেছেন।
কবুতর পালনের পাশাপাশি নকিবের বাংলাবাজারে কবুতর, কবুতরের খাবার, ওষুধের একটি দোকান রয়েছে। লোকজন তার বাড়ির পাশাপাশি দোকানে গিয়েও কবুতর সংগ্রহ করেন।
নকিবকে অনুসরণ করে এখন দক্ষিণ দিঘলদী গ্রামে গড়ে উঠেছে অর্ধশত কবুতরের খামার। তিনি বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে তিনি আরও বড় করে খামার গড়ে তুলবেন।
শুধু দক্ষিণ দিঘলদী নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিন শতাধিক কবুতর খামার গড়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে এখন অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আগের থেকে আরও ভালো করে চালাচ্ছেন সংসার।
নকিব রাঢ়ীর ভাতিজা মুনায়েম বলেন, আমি চাচার সঙ্গে দুই বছর ধরে দোকান দেখাশোনা করছি। আমার যখন মন খারাপ হয় তখন এই কবুতরের মাঝে এলে মন ভালো হয়ে যায়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা থেকে নকিব রাঢ়ীর কাছ থেকে কবুতর নিতে এসছেন মো: নুরউদ্দিন। তিনি বলেন, দুই বছর আগে নকিব রাঢ়ীর কবুতর পালন দেখে উৎসাহী হয়ে এক জোড়া কবুতর কিনি। এখন আমার খামারে ৮-১০ জোড়া কবুতর হয়েছে। আমার কবুতরের কোনো সমস্যা হলে নকিব ভাইয়ের কাছে নিয়ে আসি। তিনি সমাধান করে দেন।
দক্ষিণ দিঘলদী ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিম মিয়া জানান, নকিব ভাইয়ের কাছ থেকে কবুতরের চিকিৎসাসেবা, কবুতরের খাবারসহ সব কিছু নিয়ে থাকি। আমাদের আর ভোলা পশু হাসপাতালে যাওয়া লাগে না।
তবে খামারিদের দাবি, সরকার যদি তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করেন কিংবা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেন তাহলে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। একইসঙ্গে খামার বড় করে ভোলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কবুতর ও কবুতরের বাচ্চা সরবরাহ করতে পারবেন বলে দাবি এসব খামারিদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত কুমার দের দাবি, ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে সফলতা এসেছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে কবুতর পালনকে বেছে নিয়েছে। দেশি ও বিদেশি কবুতর লালন ও বাজারজাত করছে। তিনিও খামারিদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, এসব যুবক আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। তাই সরকারকে তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:১৬   ৫০৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


নদীতে মিলছে না কাংখিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা
কাঁচের চুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের শ্রমিকরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
লালমোহনে তীব্র গরমে মুরগির খামারিদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা
‘নকশী কাঁথা’ সেলাই করে ঘুরে দাঁড়ালেন ভোলার আমেনা খানম
ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা



আর্কাইভ