স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্রমিকলীগ নেতার জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। গত সোমবার তারা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরুপায় হয়ে বাদীপক্ষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার একটি পত্রিকা অফিসে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাদী নুরে আলম অভিযোগ করে বলেন, তিনি ভোলা সদর উপজেলার জেল এল নং-৩৯, তৌজি নং-৩০, মৌজা চর জাঙ্গালিয়া, এস.এ ১৫৭নং খতিয়ানে ১-২৫ শতাংশ জমি খরিদ করেন। যার এস.এ নকশায় দাগ নং-২১৮/২২১/২২২, যাহার বি.এস দিয়ারা ৫০৬ নং খতিয়ানের দাগ নং-৩৪৩/৩৩৮/৩৪৭। ৩৪৩ দাগে ৩.৫০ শতাংশ ও ৩৩৮ দাগে ৩.৬০ শতাংশ এবং ৩৪৭ দাগে .৪০ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজের কাজে বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় থাকতে হয়। কারণ আমি বাংলাদেশ (এক্সটা মোহরা) নকল নবীশ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক এবং ঢাকার রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্স নকল নবীশ শ্রমীকলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক। এলাকায় আমি না থাকার সুবাধে প্রতিপক্ষ গ্রুপ আমার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। উপায়ন্তুর না দেখে আমি ভোলা কোর্টে ফৌজদারী কার্য বিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় আমির হোসেন, পিতা- আঃ গনি, মোঃ দুলাল, পিতা- আঃ গনি, মোঃ জামাল, পিতা- মোঃ দুলাল, মোস্তফা, পিতা-মৃত ফজলে রহমান, মোঃ হারুন, পিতা-মৃত ফজলে রহমান ও মনজু, পিতা-মৃত আইয়ুব আলীকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। যার নং-এমপি-১৫৯/১৮। ওই মামালার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞা আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয় পক্ষকে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গ্রুপ আদালতের আদেশ উপক্ষো করে গত সোমবার আবার জমি দখলের উদ্দেশ্যে এলাকার বাহির থেকে সন্ত্রাসী এনে জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে।
এদিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের আমির হোসেন গং’দের হুমকির মুখে নুরে আলম এলাকায় যেতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে নুরেআলম আরো বলেন প্রতিপক্ষ গ্রুপ প্রতিনিয়তই আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তারা বলছে তুই যদি জমিনের ধার যাস, তাহলে তোকে মেরে ফেলবো। নিরুপায় হয়ে নুরে আলম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার ক্রয়কৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে অভিযুক্ত প্রতিপক্ষের আমির হোসেনে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা নুরে আলম এর বাপ-দাদাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। ইহা ছাড়া তার বাপ-দাদারা তাদের জমি বিক্রি করে গেছেন। এখন তাদের মাত্র ১ শতাংশ জমি রয়েছে। কিন্তু তারা কিভাবে, কাদের জমিতে বসবাস করছে তা এখন প্রশ্নের সম্মুখিন। তারা যে জমির দাবী করছেন তার কোন বৈধতা নেই, সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন।
বিরোধীয় জমি দীর্ঘদিন যাবত খালি ছিল, তখন ঘর করেন নি। এখন কেন দোকান ঘর উত্তোলণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৩:৫৩ ৩৩৫ বার পঠিত