ছোটন সাহা ॥
জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ভোলা অংশে ইলিশা ফেরীঘাটে যানবাহন উঠা-নামা করতে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফেরীঘাটের র্যাম ও এপ্রোস সড়কে ২/৩ ফুট পানির কারনে যানবাহ পারাপার হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে। অন্যদিকে এ রুটে ৩টি ফেরী চলাচল করলেও উভয় পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ভোলা অংশে ৫০টি এবং লক্ষীপুর অংশে শতাধিক ৯০টি মত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এ রুটের পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশা ফেরী ঘাটের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ফেরীর পল্টুনের র্যাম ও এপ্রোস সড়কে ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ঘাট থেকে পন্যবাহি ট্রাক উঠা-নামা করতে হচ্ছে। ভারী যানবাহনগুলো অনেকটা ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে।
ঘাটের শ্রমিকরা জানান, গত তিনদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। ঘাটটি আরো উচু হলে যানবাহন চলাচলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।
ফেরী কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার সাথে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। এ রুটে বর্তমানে কৃষানি, কুসুম কলি এবং কনচাপা নামে ৩টি ফেরী চলছে। ঈদ মৌসুমে গন পরিবহন এবং পন্যবাহি যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উভয় পাড়ে যানবাহ আটকে আছে।
তবে চাদপুর-সৈয়দপুর রুটে সমস্যা থাকায় খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের পরিবহনগুলো ভোলা-লক্ষীপুর রুট দিয়ে আসা যাওয়ায় করায় যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এসব যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ছাড়াও পানি সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ফেরীঘাটের কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, তিদন ধরে পানির সমস্যা হচ্ছে, তবে যে পরিমান পানি উঠছে তাতে যানবাহন উঠা-নামায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না। দৈনিক ৬টি ট্রিপ দিয়ে যানবাহন কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:২০ ৪৫৪ বার পঠিত