রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কবল থেকে বাঁচল ভোলা, নেই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

প্রচ্ছদ » জেলা » ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কবল থেকে বাঁচল ভোলা, নেই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
সোমবার, ১৫ মে ২০২৩



আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥

কিছুটা দুর্বল হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার দুপুরের পর মূল আঘাত হানে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে। আতঙ্ক-উৎকন্ঠা কাটিয়েছে ভোলাবাসী। মিয়ানমারের দিকে সরে যাওয়ায় মোখার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে দ্বীপজেলা ভোলা। রোববার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি মানুষের জান-মালের তেমন ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণও হয়নি। এতে বাতাসের তীব্রতাও ছিল স্বাভাবিক। বিকেল ৩টার পর রোর্দ্দুাজ্জোল আবহাওয়া দেখা গেছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এতে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই।

---

ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার বিকেল ৩টার পর থেকে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় সূর্যের দেখা মিলেছে। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিবাহিত করে মিয়ানমারে চলে গেছে। এতে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি।

তবে সোমবার (১৫ মে) থেকে জেলায় কিছুটা বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে জলোচ্ছ্বাস হবে না। এছাড়া ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রাতের মধ্যেই উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।এদিকে, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আল-আমীন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে জেলার কোথাও বেড়িবাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা জেলার সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব শেষ হলেও বিআইডব্লিউটিসি’র কাছ থেকে নৌযান চলাচলের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ সোমবার সকালে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহা জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চরাঞ্চলের যেসব বাসিন্দারা এসেছিলেন, রোববার সন্ধ্যার আগেই তারা বসতভিটায় ফিরে গেছেন। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র যে প্রভাব থাকার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। যার ফলে এই জেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সৃষ্টিকর্তা ‘মোখা’র কবল থেকে ভোলাকে রক্ষা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩২:০০   ১৮৩ বার পঠিত