বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চরফ্যাশনে বিদ্যালয়ে আগুন, বের হতে গিয়ে আহত ৩০ শিক্ষার্থী

প্রচ্ছদ » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে বিদ্যালয়ে আগুন, বের হতে গিয়ে আহত ৩০ শিক্ষার্থী
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২



---

চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥
ভোলার চরফ্যাসন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বের হওয়ার সময় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে, সকালে শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাসে দিয়ে বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন অভিভাবকরা। হঠাৎ দুপুর ১২টার দিকে সহকারী শিক্ষকদের কক্ষের সামনে জরাজীর্ণ বিদ্যুতের মিটার থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। বিদ্যালয়ে দোতলার গ্রিল ভেঙে শিশু শিক্ষার্থীদের বের করেন তাঁরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে বের হতে গিয়ে অনন্ত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে নাপিশা, মুনতাহা, প্রমুক্তা সরকার নামে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
শিক্ষার্থী মাসিয়াসহ অপর শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ তারা শুনতে পায়- স্কুলভবনে আগুন লেগেছে। এমন খবর শুনে ক্লাস থেকে বের হতে গেলে শিক্ষকরা বাধা দেন এবং কিছু হয়নি বলে ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ পর চারদিক ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়লে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে দরজা খুলে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন।
অভিভাবক তাছলিমা বেগমের ভাষ্য, বিদ্যালয় ভবনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন খুবই জরাজীর্ণ। ক্লাস চলাকালীন ভবনে গেট বন্ধ থাকায় আগুনের পরপরই সব শিক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এতে সঠিক সময়ে বের হতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের দোতলার গ্রিল ভেঙে কিছু শিক্ষার্থীকে বাইরে আনতে সক্ষম হন। শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণেই বিদ্যালয় ভবনে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে দাবি তাঁর।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন দাবি করেন, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তাৎক্ষণিক আগুন থেমে গেছে। কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়নি।
চরফ্যাসন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জরাজীর্ণ বিদ্যুতের লাইনের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান। তিনি বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দ থেকে বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা দরকার ছিল। কিন্তু কেন বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৭:০৪   ৩৪১ বার পঠিত