মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

প্রচ্ছদ » জেলা » মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ
রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২



ছোটন সাহা ॥
টানা ৪ দিন ধরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০ গ্রাম। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
জোয়ারের পানিতে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।
বন্যাকবলিত খাদিজা ও ফাতেমা বলেন, চারদিন ধরে পানিতে ভাসছি, আমাদের ঘর-বাড়ি উঠান ডুবে গেছে। চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না।
ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর, মেদুয়া, রামদাসপুর, দক্ষিণ রাজাপুর, দাইয়া, সেনাপুর, পশ্চিমপুর কন্দকপুর গ্রামগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে থাকায় জোয়ার এলেই তলিয়ে যায়। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ ভোগান্তিতে আছে। একই চিত্র সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের। সেখানকার ৫টি গ্রাম জোয়ার এলেই ডুবে যায়।

---

রাজাপুর ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, জোয়ারের পানিতে রাজাপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম তলিয়ে গেছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এসব মানুষের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন বলেন, আমাদের গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় এলাকার মানুষের এতো দুর্ভোগ। বাঁধ দেওয়া হলে মানুষের এমন দুর্ভোগ থাকবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রাজাপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের যেসব মানুষ বসবাস করছে তারাই জোয়ারের পানিতে কষ্ট পাচ্ছে। আমরা সেখানে বিকল্প বাঁধ নির্মাণের কথা ভাবছি।
জানা গেছে, পূর্ণিমার প্রভাবে গত ৪ দিন ধরেই মেঘনার জোয়ারে গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৪-৫ ঘণ্টা পানি স্থায়ী থাকে। পরে ভাটায় পানি নেমে গেলেও কিছু কিছু স্থানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন তারা। পানিবন্দী থাকায় অনেকের ঘরে রান্নার চুলো জ্বলছে না। পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে জানান তারা।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওইসব গ্রামে পানি উঠে আবার নেমে যায় তাই তাদের পানিবন্দী বলা যাবে না। প্রতি জোয়ারেই তাদের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের তালিকা তৈরি করতে বলেছি। তালিকা তৈরি হলে পরবর্তীতে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৯:৪৩   ৩১৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


ভোলার গ্যাস উৎপাদন: কূপ খননে আরও চড়া দাম চায় গাজপ্রম
রাজাপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের উঠান সভা
ভোলায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছের সংবাদ সম্মেলন
ভোলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা সভা
আশরাফ হোসেন লাভু ছিলো আ’লীগের নিবেদিত প্রাণ: তোফায়েল আহমেদ
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০
আমাকে মটর সাইকেল প্রতীকে আপনাদের মুল্যবান ভোটটি দিবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইউনুছ
নদীতে মিলছে না কাংখিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস-পলাশ এর মতবিনিময় সভা



আর্কাইভ