শিবপুরে ভুমিদস্যু মুসা গংরা আইন মানছেননা ॥ পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল

প্রচ্ছদ » অপরাধ » শিবপুরে ভুমিদস্যু মুসা গংরা আইন মানছেননা ॥ পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল
বুধবার, ১১ মে ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা সদর শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির ভূমিদস্যু মুসাগংদের দখল বাজি বন্ধ নাই। আদালত ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধারে-আবু মুসা, আবুসায়েদ, আবুল খায়ের, ইয়াবা রহমান, সিহাব, রিমনের নেতৃত্বে তাদের বাহিনী জমি দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, ১১ তারিখে টিনের ছাপরায় ১টি চকি, ভিটা পাকা করার জন্য ইট, খোয়া ও বালু নিয়ে জড়ো করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের র্দূঘটনার আশংকা করছেন এলাকা বাসি। তারা কোন আইন মানছেননা। ১১ মে বুধবার আদালত পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন।

---

মুনসুর, মালেক, মহসিন, জসিম ও ভুক্ত ভুগীরাসহ অনেকে জানান, শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির মৃতঃআবদুল ওহাব হাওলাদারের জমি এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ জসিম,আল আমিন হাওলাদার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মানিক মিয়া, এ কে এম নুর হোসেন হাওলাদার, বেলায়েত হোসেন হাওলাদার, মেন্বার আবুল কাসেম ও মালেক মেন্বার উপস্থিত থেকে ভাই -বোনদের মধ্যে ভাগ করে দেন। রতনপুর বাজারের সাথে মোল্লারকোট নামক জমিটি ৪টি ভিটা ও বাড়ির ১টি ভিটা এবং দামী দামী জমিগুলো ভাইদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে,নিন্ম মানের জমি বোনদেরকে দেয়া হয়। বোনেরা তা মেনে নিয়েছে। বড় ভাই আবুল বশার পিতার ওয়ারিশ হিসাবে শিবপুর মৌজায় এস এ-১৮৮, ৩০৪, ৫১৮, ৫২০, ৫২১, ৫২২, ৫২৩ ও ৫২৫ নং খতিয়ানের শতাধীক দাগে ১৬.৮৮ শতাংশ জমি পাওনা হয়েছেন। তার কাছ থেকে মুসা গংরা অসৎ উদ্দেশ্যে ঢাকা গিয়ে নারায়ন গঞ্জের ফতুল্লা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে বসে মোঃ আবদুছ সামাদ আজাদের নামে ৩৬ শতাংশ জমির এটর্নী পাওয়ার দলিল নিয়ে, ভোলা সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে আবুল খায়ের হাওলাদার ও আবু মুসার নামে ৩৬ শতাংশ জমির দলিল করেন। তিনি জমি বিক্রি করলেও দখল বুঝিয়ে দেননি। দলিল গ্রহীতারা  জোড় পূর্বক নিজেদের ইচ্ছে মত প্রথমে দামী দামী ৩১ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছেন। তার পর থেকে আরো জমি দখল করে নিতে পায়তারা শুরু করেন। গত বছর থেকে ৫ বোনকে দেয়া জমির মধ্যে ৫২৩ ও ৫২৫ নং খতিয়ানের ১০৩৫ নং দাগের ১৮ শতাংশ জমি দখল করে নিতে চেষ্টা করে। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা আর পারেননি। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ভুমি দস্যু মুসা বাহিনী অর্ধশত লোক নিয়ে ২টি নারিকেল, ১টি রেইনট্রি ৬টি মেহগুনি গাছ কেটে লুট করে ওই জমিতে ঘর করা চেষ্টা চালায়। সাংবাদিক মিজানুর রহমান স্ত্রী ও তার বোনদের জমি রক্ষার্থে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে, থানা পুলিশ শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত, তদন্ত শেষে নিষেধ করার পরেও  সারকারী রাস্তার উপর নির্মান সামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা শৃস্টি ও সন্ত্রাসী বাহিনীদিয়ে জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান করার অভিযোগে ২ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেন। কাজ বন্দ করে দিয়ে, আইন শৃংঙ্খলা বাজায় রেখে কাগজ পত্র নিয়ে থানায় যাওয়ার জন্য উভয়কে নির্দেশ দেন। কিন্তু ভুমি দস্যু মুসা গংরা তা পাত্তা না দিয়ে নির্মান কাজ চালাতে থাকেন। ১১ এপ্রিল ভাই মাজেদ হাওলাদার বাদী হয়ে ফৌজদারী মামলা করে নিষেধাজ্ঞা দাবী করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। থানা পুলিশে ১৩ এপ্রিল উভয়কে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখা এবং আদালতে চড়ান্ত রায় প্রদান না হওয়া পর্যন্ত সক প্রকার কাজ কর্ম বন্দ রাখার জন্য উভয়কে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ প্রদানের পরেও ভুমিদস্যু মুসাগংরা ২৫ এপ্রিল রাতে  ৮টি মেহগুনি গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায় এবং একটি ১ চালা টিনের ঘর নির্মান করেন। পুলিশ খবর পেয়ে ২৬ এপ্রিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পান। অফিস আদালত বন্ধ পেয়ে (১ মে) রবিবার রাতে ঘরে নতুন একটি দরজা লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগান ভুমিদস্যুরা, বিদ্যুৎ অফিস পরের দিন জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পেয়ে সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দেন। মিটারটি এখনও জমির মধ্যে ঝুলন্ত রয়েচে। তার পরেও অন্যভাবে বিদ্যুত ব্যবহার করে, রাতে কাজ করার জন্য ২ মে সোমবার রাতে সিমেন্ট, ইট ও বালু নিয়ে জড়ো করে রেখেছেন। এলাকাবাসির প্রতিরোধের মুখে কাজ বন্ধ রাখেন। আবার ৬ ও ৭ মে রাতে ১ চালা ঘরে বেড়া কেটে দরজা লাগিয়েছে। জমি তাদের ঘরের সাথে হওয়ায় তারা গায়ের জোরে দখলের চেষ্টা করে। ১১ তারিখে আদালত পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন। ওই দিনই টিনের ছাপরা ঘরে ১টি চকি বসিয়েছেন, ওইটি পাকা করার জন্য ইট, খোয়া ও বালু নিয়ে জড়ো করেছেন। তারা কোন আইন মানছেননা।
জমির মালিক-মাকছুরা, হাসনা,ইয়ানুর ও কায়নুর বেগম জানান, বড় ভাই আবুল বশার নিঃশন্তানি থাকায় যে পরিমানে জমি পাবে গোপনে গোপনে তার চেয়ে বেশী বিক্রি করে ফেলেছে। আবারও ভুমিদস্যু আবু মুসা, আবুল খায়ের গ্রুপ অসৎ উদ্দেশ্যে নামমাত্র টাকা দিয়ে ঢাকা ফতুল্লা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের মাধ্যমে আবুল বশারের কাছ থেকে অতিরিক্ত জমির পাওয়ার দলিল করে, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার মরহুম আলী আকবর বড় ভাইর স্ত্রী ও তার বোনদের জমি জবর দখল করতে দোকান ঘর নির্মান শুরু করে। অবৈধ ঘর অপসারন, বেশী পরিমানে জমির দলিল সৃজনকরা ভুমি দস্যুদের বিচার দাবী করেছেন ভুক্ত ভুগীরা ও এলাকা বাসি। এদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:৩৪   ৩৫৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেলের বিরুদ্ধে
বাপ্তায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এতিম সন্তানের উপর হামলা
‘টাকা পেলেই ভাতা করার দায়িত্ব নেন দফাদার’
চরফ্যাসনে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভোলায় ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক ১
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০
ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা
পুলিশ চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, অবশেষে আটক
তারা কখনো জিন বাবা- কুফরি বাবা, আবার কখনো কালী বাবা
পশ্চিম ইলিশায় অন্যের কবরস্থানে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা : বাধা দেয়ায় ১জনকে পিটিয়ে জখম



আর্কাইভ