ভোলায় বন্ধ হচ্ছে না ইলিশ নিধন ও বিক্রি

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলায় বন্ধ হচ্ছে না ইলিশ নিধন ও বিক্রি
রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
নিষিদ্ধ সময়ে ভোলায় বন্ধ হচ্ছে না ইলিশ নিধন ও বিক্রি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত-জেলা ও উপজেলর-পাড়া, মহল্লা, অলি-গলি ও বাজারে বিশেষ পাহাড়য় বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ মাছ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দিলেও তারা ধারে কাছে আসেননা। সরকারের কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু দিন-রাত অবৈধ জালে মাছ ধরছেন জেলেরা। সরকারের সকল প্রকার প্রশাসন হার মানছে স্ব স্ব এলাকার জেলে ও প্রভাবশালীদের কাছে। তাদের অভিযানে যে পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ হচ্ছে তা মোট পরিমাণের মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। প্রতিরোধকারী সংস্থার কর্মকর্তারাই এমন তথ্য দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন অপরাধ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। জাটকা ও মা ইলিশ ধরা থেকে শুরু করে পরিবহন, বাজারজাত ও বিক্রির সাথে একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীরা জড়িত, যা একমাত্র সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বন্ধ করা সম্ভব।

---

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ১ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত জাল ফেলে মাছ ধরার অপরাধে ভোলা জেলায় মেঘনা- তেতুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সহ¯্রাধীক জেলেকে আটক ও শতাধীক মণ ইলিশ এবং সহ¯্রাধীক মিটার জাল জব্দ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, পিছনে মনিুষ না থাকলে মাছ ধরা সম্ভব নয়। তা রোধ করতে পারলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু পুরো বিষয়টি প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায়, কোনো উদ্যোগই সফল হয় না। প্রশাসনও অসহায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নেন না। কারণ জেলে দিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় হয় তাদের, জেলেদের নিয়েও ভোটের রাজনীতি রয়েছে।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ সময়ে একশ্রেণীর প্রভাবশালী মহল সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সাধারণ জেলেদের দিয়ে মাছ আহরণ করে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। জেলেদের দাদন দিয়ে-নিষিদ্ধ সময়েও মাছ আহরণ করাচ্ছে। দাদন গ্রহীতা বাধ্য হয়েই নিষিদ্ধ সময়ে মাছ আহরণ করছে। পাড়া, মহল্লা এবং বাজারে বিক্রিতেও প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রন করছেন। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় যে পরিমাণ ইলিশ ডিম দেয়-তার মাত্র ১০ শতাংশ বাঁচলে প্রতি অর্থবছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন ইলিশ উৎপাদন হওয়ার কথা। নৌ-পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অপরাধীদের ক্ষমা করারও প্রবণতা রয়েছে। জরিমানা দিলে সাত খুন মাফ-আইনের এই ফাঁককে হাতিয়ার করেও জাটকা-মা ইলিশ ধরা অব্যাহত আছে। আর ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত- জেলা ও উপজেলর-পাড়া, মহল্লা, অলি-গলি ও বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ মাছ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দিলেও তারা ধারে কাছে আসেননা।
মৎস্য কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, আমরা আমাদের কাজ করছি আর জেলেরা জেলেদের কাজ করছে। ২ মাসের নিষিদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়, তার পরেও চেষ্টা করছি-লাখ লাখ মিটার অবৈধ জালসহ মনের পর মন জাটকা-মা ইলিশ জব্দ করা হচ্ছে। আমরা নদীতে অভিযান চালাচ্ছি। শুধু আইন দিয়ে নয়-সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোরনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়তে পারলেই মৎস্য খাতে সুফল মেলবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৫:৫৮   ২৯০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেলের বিরুদ্ধে
বাপ্তায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এতিম সন্তানের উপর হামলা
‘টাকা পেলেই ভাতা করার দায়িত্ব নেন দফাদার’
চরফ্যাসনে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভোলায় ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক ১
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-৩০
ভোলায় অন্যের ভোগদখলীয় জমির গাছ কেটে দখলের চেষ্টা
পুলিশ চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, অবশেষে আটক
তারা কখনো জিন বাবা- কুফরি বাবা, আবার কখনো কালী বাবা
পশ্চিম ইলিশায় অন্যের কবরস্থানে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা : বাধা দেয়ায় ১জনকে পিটিয়ে জখম



আর্কাইভ