বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোলায় মেঘনার পানি বিপদসীমার উপরে, নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় মেঘনার পানি বিপদসীমার উপরে, নি¤œাঞ্চল প্লাবিত
সোমবার, ১২ জুন ২০১৭



---
ছোটন সাহা ॥
পূর্নিমার সৃষ্ট জোয়ার এবং বঙ্গোপসাগরে সাগরে লঘু চাপের প্রভাবে ভোলায় নদ- নদীর পানি বিপদ সীমার  উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নি¤œঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  পানি বন্দি হয়েছে পড়েছে হাজার  মানুষ।
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে মনপুরা উপজেলায়। সেখানে মনপুরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের অন্তত ৭গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। রবিবার বিকালে জোয়ারের এসব এলাকা প্লাবিত হয়।
এদিকে মেঘনায় পানি বিপদ সীমার ২০০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এটি এ মৌমুমের সবোচ্চ জোয়ার বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে।
এছাড়াও দিনভর জেলায়  ১৬.৩  মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় বহাল রয়েছে ৩ নাম্বার সতর্ককতা সংকেত।
মনপুরার  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার জানান, অতি জোয়ারে উপজেলার মনপুরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুস পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ না থাকায় এসব এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে।
ভোলা পানি উন্নয়ন ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার হোসেন জানান, এ মৌসুমে সর্বোচ্চ জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার জোয়ারের উচ্চতা ছিলো বিপদসীমর ২০০ সেমি। বাধের ভেতর এবং বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে তজুমদ্দিনের চাদপুর, চরফ্যাশিনের কুকরী-মকুরী, ঢালচর চর পাতিলা, দৌলতখানের হাজিপুর, মেদুয়া, মদনপুর, সদরের রামদাসপুর, মাঝের চর, ধনিয়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ধনিয়ার নাছির মাঝি জোয়ারে বাধের বাইরে পানি ঢুকে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দ হয়ে দুর্ভোড়ে পড়েছেন মানুষ।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মাহাবুব রহমান বলেন, সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারনে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে। এতে নদী বন্দরসমুহকে ৩ নাম্বার সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট, ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ন জনপদ। পানির হাত থেকে রক্ষায় অনেকেই উচু স্তানে আশ্রয় নিয়েছেন।
অরপদিকে জোয়ারের পানি ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইলিশা ফেরী ঘাটের র‌্যাম ও এপ্রোস সড়ক তলিয়ে যাওয়ায়  ফেরীতে যানবাহন উঠা-নামায় মারাতœক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৩:৫৩   ৪৬৯ বার পঠিত