শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ভোলার বিসিক শিল্প নগরী গরু-ছাগল আর মাদকসেবীদের বিচরণক্ষেত্র

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলার বিসিক শিল্প নগরী গরু-ছাগল আর মাদকসেবীদের বিচরণক্ষেত্র
সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০



বিশেষ প্রতিবেদন ॥
অপার সম্ভবনা থাকা সত্বেও ২৮ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ভোলার খুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্প নগরী। গড়ে উঠেনি উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অব্যাবস্থাপনার অভাবে মুখ থুবরে পড়েছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। দিনের বেলায় গুরু-ছাগলে বিরানভূমি আর রাঁতের বেলায় মাদকসেবীদের দখলে। অন্যদিকে প্লোট দখল, রাস্তাঘাট, গ্যাস সংযোগ স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যাবস্থার অভাব ও বহিরাগতদের নগ্ন হস্তক্ষেপে আস্তা হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। বিসিক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অনিয়মকেও দায়ি করছেন উদ্যেক্তরা। ফলে সকল সম্ভবনার দ্বার নিস্তেজ হয়ে এক ভূতরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ভোলার খুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী।

---

সুত্রমতে, ভোলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নের লক্ষ্যে শহরের খেয়াঘাট সড়কের চৌমুহনী এলাকায় ১৯৯২ সালে ১৪ দশমিক ৪৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী। ৯৩টি প্লোটের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে ৭১টি অথচ গড়ে ওঠে মাত্র ৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে চালু আছে মাত্র ৫টি। বাকি প্লোট গুলো দখল করে আছে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী চক্র। ফলে নতুন উদ্যক্তা হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে প্রতিষ্ঠার ২৮ বছরেও গড়ে উঠেনি প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান। এর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন শিল্প মালিকরা।
বিসিক শিল্প এলাকার মূল ফটক থেকে শুরু করে দেড় কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে ভরা, সামন্য বৃষ্টিতেই হাটু সমান পানি। সবুজে বেষ্টিত গাছ গুলো আগের মত নেই, গরু ছাগলের বিচরনের ফলে বর্জের দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। স্থানিয় বালি ও পাথরের ব্যাবসায়িদের কারনে রাস্তার পুরোটাই নষ্ঠ হয়ে গেছে। এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন শিল্প মালিকেরা।
শিল্পোদ্যোক্তরা বলছেন, বিসিক কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিলেও আমাদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করছেন না। দিনের বেলায় এখানে আসতে পারলেও রাঁতের বেলায় একেবারেই অসম্ভব। শিল্পনগরীতে বিদ্যুতব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা হতেই অন্ধকারে ছেঁয়ে যায়। এই সুযোগে শহরের মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য পরিনত হয় গোটা বিসিক শিল্প এলাকা। এছাড়া নেই সীমানা দেয়ালও। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিসিক এলাকার মালিক-শ্রমিকেরা।
ভোলা বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অচিরেই বিসিক শিল্প নগরীর সকল সমস্যা সমাধান হবে। ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, বলেন ইতিমধ্যেই আমরা সকল ধরনের সমস্যা নিরসণের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি অছিরেই সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৮:২০   ৪৪২ বার পঠিত