বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোলায় বিআরডিবি শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় মহা ক্যাম্প ও ক্রাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ভোলায় বিআরডিবি শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় মহা ক্যাম্প ও ক্রাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১



আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮৬-৮৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বা বিআরডিবির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিপুল অংকের টাকা বিতরন করে। যা কৃষকগণ সেচ পাম্প ক্রয় শর্তে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেচ পাম্প কিনে কৃষকরা উপকৃত হলেও বিআরডিবি সেই ঋণের অর্থ যথা সময়ে আদায় করতে পারেনি। যা প্রায় ৩৫ বছর পর এসে সুদাসলে পরিমানটা এতটাই মোটা হয়েছে। একজন কৃষক যেখানে ২৭৭৫০ টাকা নিয়েছিলেন সেখানে সুদাসলে এখন হয়েছে প্রায় ৭লাখ টাকা। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক সে সকল খেলাপী ঋণগ্রহিতাদের সুদ মৌকুফ সুবিধা দিয়ে শুধু আসল টাকা পরিশোধ করার শর্তে ঋণমুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

---

তারই অংশ হিসেবে ২৩ শে নভেম্বর-২১ সোমবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় অনুষ্ঠিত হয় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ভোলা এর “বিআরডিবি শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় মহা ক্যাম্প ও ক্রাশ প্রোগ্রাম”। “সোনালী ব্যাংক ভোলা শাখা ও বিআরডিবি ভোলা এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক ভোলা শাখার ব্যাবস্থাপক মোঃ কবির আহমেদের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি ছিলেন, সোনালী ব্যাংক ভোলা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সরদার মোঃ জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন, ভোলা এর কর্মকর্তা মোঃ মাহে আলম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক ভোলা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবদুল্লাহ আল মোমেন, প্রিন্সিপাল অফিসার মাহামুদ জুবায়ের,পূর্ব ইলিশা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত ঋণ খেলাপীদের উদ্যেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, “আপনাদের কৃষিকাজে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে অর্থ দিয়েছিলো তা গত ৩৫ বছরেও আপনারা তা ফেরত দিতে পারেননি। তাই ব্যাংক আপনাদেরকে আগামী ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে শুধু মূল টাকা পরিশোধ করে ঋণ মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা এই সুযোগ কাজে লাগাবেন তারা যেকোন প্রোয়োজনে সহজ সর্তে আবার ঋণ পাবেন। আর যারা ব্যর্থ হবেন তারা সুদাসলে সকল পাওনা দিতে বাধ্য হবেন। এসময় ১০ জন খেলাপী ঋণ গ্রহিতা তাদের কাছে পাওনা ৪০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করেন।
উল্লেখ্য, ওই এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ব্যাংকের পাওনা সুদাসলে প্রায় একশত আটান্ন কোটি টাকা। যেখানে মূল টাকার পরিমান প্রায় ৬১ কোটি ৫৮ লক্ষ্য টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০:১০:০৯   ২৬৩ বার পঠিত