বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চরফ্যাসনে ছিনতাই চক্রের ফাঁদে বোরহানউদ্দিনের দুই যুবক

প্রচ্ছদ » অপরাধ » চরফ্যাসনে ছিনতাই চক্রের ফাঁদে বোরহানউদ্দিনের দুই যুবক
শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১



চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥
রাতের আধাঁরে ইলিশ মাছ দেয়ার ফাঁদে ফেলে বরহানউদ্দিন উপজেলার রফিক ও আলআমিন নামের দুই যুবকের নগদ টাকা, সোনার চেইন, আংটি ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে বেতুয়া বেড়িবাঁধ এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে ওই দুই যুবককে আটকে রেখে মারধর করে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্থানীয় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা একত্রিত হয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় মারধরের শিকার রফিক বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি এজহার নামায় তিন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যসহ অজ্ঞাত  আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকা ছিনতাই চক্রের সদস্য মোরশেদ নামের একজনকে আটক করেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

---

ছিনতাই ও মারধরের শিকার যুবক রফিক জানান, আসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব পরিচিত মোরশেদের ছিনতাই চক্রের মূল হোতা শাখাওয়াতকে আমার ফোন নাম্বার দিয়ে সুলভ মুল্যে ইলিশ মাছ কিনে
দিবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোনে তাকে বেতুয়া এলাকায় ডেকে নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন থেকে বেতুয়ায় আসলে মোরশেদের সঙ্গী  ছিনতাই চক্রের সদস্য নাঈম, শাখাওয়াত, মিঠু ও আকতারসহ কয়েকজন মিলে যুবক রফিককে মাছ কিনে দিবেন বলে ওই যুবকের সঙ্গে আসা মোটর সাইকেল চালক আলআমিনকেসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকেন। পরে রাত ১১টার সময় ওই ছিনাতাইকারী চক্রের সদস্যরা তাদের দুইজনকে বেতুয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যান। এবং তাদের বেড়িবাধের নির্জন স্থানে নিয়ে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি লাঠিঁসোটা,এসএস পাইপ ও জিআই তার দিয়ে বেদড়ক মারধর করেন। এসময় রফিকের কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ও সোনার চেইন,আংটি ছিনিয়ে নেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ওই চক্রের সদস্যরা। আমাদের দুইজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরোও ২০হাজার টাকা হাতিয়ে নেন চক্রের সদস্যরা। তাদের মারধরে আলআমিন পালিয়ে আত্বরক্ষা পায়। এবং আমি অচেতন  হয়ে পরলে তারা বেতুয়া বাধের ঢালে মসজিদের সামনে আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পথচারীরা সকালে আমাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা এসে আমাকে চিকিৎসার জন্য চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, আসলামপুর ইউনিয়নের সুদের ব্যবসায়ী নাঈম, এলাকায় দির্ঘদিন ধরে সুদ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক, জুয়া ও নারী কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এবং তার সহযোগী শাখাওয়াত, মিঠু, আকতার ও মোরশেদ তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছেন। এলাকায় নানান অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নাই বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য মিলেছে। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৭:৩৫   ২৯৬ বার পঠিত