বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সাংবাদিক বেল্লাল নাফিজের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রধান দুই আসামীকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলে প্রেরণ

প্রচ্ছদ » আইন ও আদালত » সাংবাদিক বেল্লাল নাফিজের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রধান দুই আসামীকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলে প্রেরণ
সোমবার, ৯ আগস্ট ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
গত ২৭শে জুলাই (মঙ্গলবার) ভোলার জনপ্রিয় অনলাইন ভোলার আলো.কম এর স¤পাদক বেল্লাল নাফিজের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নির্যাতিত সাংবাদিক বেল্লাল নাফিজের দায়ের করা মামলার( ৫২/৪১১) প্রধান এজহার ভুক্ত দুই আসামী মালেক সর্দার ও জায়ের সর্দারকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলে প্রেরণ করলেন ভোলা জেলা জজকোর্টের বিজ্ঞ বিচারক আলী হায়দার।
৯ই আগস্ট  (সোমবার) বিজ্ঞ বিচারক আলী হায়দার’র কোর্টে মামলা শুনানীর শেষে তিনি এই যুগান্তকারী রায় দেন।এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সাংবাদিক সমাজসহ ভোলার সুশিল সমাজ।
উল্লেখ্য, গত ২৭শে জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার দিকে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বেল্লাল নাফিজসহ ২জন সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন। আহত সাংবাদিক বেল্লাল নাফিজ জানান, ভোলার রাজাপুরের মাদক কারবারীদের নিয়ে গত ২৬-এ জুন রাজাপুরে তিন জুঁয়ারি আটক শীর্ষক শিরোনামে  একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নিউজ এ মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী মালেকসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ঈদের ছুটিতে বেল্লাল নাফিজ তার গ্রামের বাড়ীতে গেলে ঐ নিউজ প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী মালেক (২৬) বেল্লালের উপর প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টায় থাকে। গত ২৭শে জুলাই মসজিদে মাগরিব নামাজ পরে বাসায় ফেরার পথে সাংবাদিক বেল্লাল নাফিজকে একা পেয়ে মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী মালেক তার উপর ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এতে বেল্লাল নাফিজের মাথায় গুরুত্বর ক্ষত হয়। এছাড়াও তার শরীরের ঘাড় ও পেটে ছুরির আঘাতে বিশাল ক্ষত হয়। এসময় বেল্লাল নাফিজ ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় সাইদুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবক তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলেও তার উপরও সন্ত্রাসী মালেকসহ তার সঙ্গপঙরা  চড়াও হয়। তাকেও ছুরি দিয় আঘাত করে। এতে তার ডান হাত কেটে যায়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী মালেকসহ তার সঙ্গপংরা পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষনিকভাবে বেল্লাল নাফিজ বিষয়টি ভোলা সদর মডেল থানায় অবহিত করলে এসআই ফরিদ, এসআই মনিরসহ তাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে বেল্লাল নাফিজ ও সাইদুল ইসলামকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে বেল্লালের মাথায় অন্তত ৬-৭টি সেলাই করতে হয়েছে। এছাড়াও সাইদুল ইসলামের হাতেও বেশ কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫০:৪৫   ৩৯৭ বার পঠিত