লালমোহনে র্দীঘ ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের ভিতরে চলছে দুই বিদ্যালয়ের পাঠদান

প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » লালমোহনে র্দীঘ ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের ভিতরে চলছে দুই বিদ্যালয়ের পাঠদান
বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮



লালমোহন প্রতিনিধি ॥
ভোলার লালমোহন উপজেলায় র্দীঘ ৩ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ের ভিতরে চলছে দুই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। জানা যায়, উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৮৬ নম্বর সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে তিন বছর আগে ভেঙে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)।
তবে ৩ বছর পাড় হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার খবর নেই। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একই ইউনিয়নের চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে কাস করতে হচ্ছে। একারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থানে গিয়ে সেখানে ভবন না দেখে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দেখিয়ে দেন। চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব দুটি ভবন রয়েছে।
যার একটির মধ্যে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাসের কার্যক্রম চলছে। এখানে এসেও তাদের আরেক বিড়ম্বনা। শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত টেবিল, চেয়ার, ব্লাকবোর্ড নেই। শিক্ষকের কক্ষেও দরকারি আসবাব-পত্র নেই।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে ভেঙে নেওয়া হয় প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। কোমলমতি শিশুদের পায়ে হেঁটে ওই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনটি তিন বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নিলামে বিক্রি করেছে। পরে আমাদের বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দুই কিলোমিটার দূরে চতলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে আনা হয়। বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকে ৪৪ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৬ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ২৫ জন এবং ৫ম শ্রেণিতে ২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
এখানে আমরা একটি কক্ষকে দুটি কক্ষ বানিয়ে কোনো রকমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় দিনে দিনে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত আমাদের নিজস্ব ভবনটি নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।
চতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। প্রতি কাসে পৌনে ২০০ শিক্ষার্থী। ১০টি শ্রেণি কক্ষ দরকার। কমনরুমসহ সেখানে আছে মাত্র ৫টি কক্ষ। এর ওপরে সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্থান দিতে গিয়ে কাস করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান না হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে।
এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফোরকান সিকদার বলেন, সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিধায় ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে বিদ্যালয়টির তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৬:৪৯   ৪২১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ইব্রাহিম রাইসি: এক আপসহীন কিংবদন্তির চিরপ্রস্থান
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে উপকূল জুড়ে কোস্টগার্ড মোতায়েন
ভোলায় জেলা প্রশাসন মিনি পার্ক এর শুভ উদ্বোধন
শেষ দিনেও সরগরম ছিলো বোরহানউদ্দিনের নির্বাচনী মাঠ
ভোলায় ভোটারদের নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার- প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা
ভোলার উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিবেচনায় নিয়ে মটরসাইকেল ও উড়োজাহাজে ভোট দিবেন
এমন নির্বাচন হবে যা ভোলাবাসী কখনো ভুলবে না: ভোলায় ইসি হাবিব
ভোলায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ভোলায় মেঘনা নদী থেকে পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
২১ তারিখ মটরসাইকেল ও উড়োজাহাজে ভোট দিবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ



আর্কাইভ