স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় ছেলে সেনা সদস্য খালিদ বিন ওয়ালিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বাবা নুর মোহাম্মদ। মা-বাবার বিরোধের জের ধরে শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিহতের মা নুরজাহান বেগম ও বোন রাবেয়া আহত হয়েছেন। বাবা ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি নুর মোহাম্মদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে স্বামীকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। বাবা নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর মোহাম্মদ তাঁর ছেলেকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানিয়েছে, যশোর সেনা ক্যান্টনমেন্টের সৈনিক পদে কর্মরত খালেদ বিন ওয়ালিদ ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। দুই দিন আগে বাবা তার মাকে মারধর করে। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর জের ধরে শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে বাবা ঘুমন্ত ছেলেকে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ছেলের চিৎকার শোনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মা ও বোনকেও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে নুর মোহাম্মদ। এতে মা নুরজাহান বেগম ও বোন রাবেয়া দুই জনই আহত হন। এ সময় নুর মোহাম্মদ অস্বাভাবিক আচরন করে বলতে থাকেন আমার সামনে যে আসবে তাকেই আমি খুন করে ফেলবো। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছেলের লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক বাবা নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে। থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
ভোলা থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে স্বামীকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। বাবা নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর মোহাম্মদ তাঁর ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।
এদিকে বাবার হাতে সেনা সদস্য ছেলে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৬:৩৮ ১৫১৮ বার পঠিত