ভেলুমিয়ার অতিদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হলো ফলদ গাছের চারা

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ভেলুমিয়ার অতিদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হলো ফলদ গাছের চারা
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩



হারুন অর রশীদ ॥
পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে ভোলায় অতি দরিদ্র চার শতাধিক পরিবারকে দুই হাজার ফলদ গাছের চারা দেয়া হয়েছে। বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ফলদ চারা বিতরণ করা হয়। গাছের উৎপাদিত ফল দিয়ে একদিকে যেমন নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মিটিবে অন্যদিকে ফল বিক্রি করে আয়ও করতে পারবেন উপকার ভোগিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষায় অনন্য এ আয়েজনে খুশি তারা।
এক সময়ে বাড়ির আঙ্গিনায় শোভাপেতো নানা ধরনের দেশীয় পুষ্টিকর ফল, কালের বিবর্তনে এখন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। বাড়ির আঙ্গিনা অনেকটাই শুন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা এক ইঞ্চি জমিও খালি থাকতে পারবেনা। এ ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করতে বাড়ির আঙ্গিনায় দেশীয় ফলের চার রোপন ও নির্মল বাতাশ ও পরিবেশ রক্ষায় বিনামূল্যে দেয়া হলো ৪ শতাধীক পরিবারের মধ্যে ২ হাজার বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা।

---

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রসপারিটি প্রকল্পের পুস্টি কম্পোনেন্টের আওতায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের অতিদরিদ্র মানুষের মধ্যে এ চারাগুলো বিতরণ করে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্রি, চন্দ্রপ্রসাদ ও চর গাজী এলাকার অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে এ চারাগুলো বিতরন করা হয়। এ তিনটি স্থানে আলাদাভাবে একই সময়ে চারাগুলো বিতরন করা হয়।
চারার মধ্যে রয়েছে আম্রপালি ১টি ১টিলেবু ও ২টি পেয়ারা চারা। পুষ্টিগুনে ভরপুর এ ফলের চারা একদিকে যেমনি পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটাবে অন্যদিকে ফল বিক্রি করে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করতে পারবে। বাড়বে আঙ্গিনার সৌন্দর্য বাড়িতে বইবে বিশুদ্ধ নির্মল বাতাশ। গাছগুলো একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠবে। দেশীয় ফলের চারা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ। কুঞ্জপট্রি গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেন গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক (কর্মসুচি) হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবু বকর, চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেন পুষ্টিবিদ বাবুল আকতার, ও চর গাজি গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেন লাইভলিহুড কর্মকর্তা সাকিল আহমেদ।
পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সাধারণ হত দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করা, দেশীয় প্রজাতির ফলের ঔতিহ্যকে ধরে রাখা ও পরিবেশ রক্ষায়ই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া দুর্যোগের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে জানান, সংস্থার এই কর্মকর্তা।
গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, ভোলা’র উপদেষ্টা জাকির হোসেন মহিন, জানান, বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় ফলগুলোকে পুনরায় বাড়ির আঙ্গিনায় ধরে রাখতে এবং অসহায় মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও ফল বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও গাছগুলো রক্ষা করবে তাদের রক্ষা পাবে পরিবেশও।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:৩৪   ১৯৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলার গ্যাস উৎপাদন: কূপ খননে আরও চড়া দাম চায় গাজপ্রম
ভোলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
নদীতে মিলছে না কাংখিত ইলিশ, হতাশ জেলেরা
কাঁচের চুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের শ্রমিকরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
লালমোহনে তীব্র গরমে মুরগির খামারিদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা
‘নকশী কাঁথা’ সেলাই করে ঘুরে দাঁড়ালেন ভোলার আমেনা খানম
ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা



আর্কাইভ