আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ভোলায় পরিবার পরিকল্পনা সেবার গুনগত মানবৃদ্ধিতে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উর্ধ্বতন এবং জেলা এ্যাডভোকেসি ওয়ার্কিং কমিটির সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ মে) সকালে ভোলা একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা মেরী স্টোপস বাংলাদেশ ও আভাসের যৌথ আয়োজনে সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা এ্যাডভোকেসি ওয়ার্কিং গ্রুপের সাথে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী মহিউল ইসলাম। ভোলা জেলা ওয়ার্কিং কমিটির আহবায়ক মো: আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হক আযাদ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক যুগ্মসচিব মো: আব্দুল মান্নান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ডিপিএম (সিসিএসডিপি) রফিকুল ইসলাম তালুকদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক পিএম (সিসিএসডিপি) ডাঃ নাসরিন জামান, মেরী স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ফোকাল এএফপি প্রকল্প ও লিড এ্যাডভোকেসি মনজুন নাহার, আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, ভোলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আফরোজ বেগম প্রমুখ।
এসময় জেলার এ্যাডভোকেসি ওয়ার্কিং কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মেরী স্টোপস বাংলাদেশ এবং আভাস কর্তৃক বস্তবায়িত কার্যক্রমের বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা সেবার কার্যক্রমের সফল ইতিবাচক এবং অনুকরণীয় কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে ভোলা জেলার সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
এসময় বক্তরা বলেন, ভোলা একটি তার উপর ভোলা বিচ্ছন্ন ২০ থেকে ২৫টি দ্বীপ চলে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। তাই এই চরাঞ্চল ও বেঁড়িবাধে পরিবার পরিকল্পনা সেবার গুনগত মানবৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকে সচেতন করতে হবে। এতে করে আগামীদিনের মা ও শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এর জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজেটে পরিবার পরিকল্পনা খাতে বাজেটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বক্তরা আরো বলেন, মাতৃ ও নবজাতক মৃত্যু কমাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব জরুরি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজ গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা। তাই চরাঞ্চলগুলোতে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে দক্ষকর্মী বাহিনী ঘটন করতে হবে এর ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর ঝূঁকি কম আসবে বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩০:১৯ ৫৭৪ বার পঠিত