আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ঘূর্নিঝড় অশনি মোকাবেলায় ভোলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ১৩ হাজার সেচ্চাসেবীককে প্রস্তিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৯১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও স্বাস্থ্যবিভাগকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন, ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। তিনি জানান, ঝড়ের সতর্কতা হিসাবে জানমালের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দারা নিরাপদ যাতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত কুমার হালদার, মামুন আল ফারুক, স্থানীয় শাখার উপ-পরিচালক রাজিব আহমেদ, সিপিপি উপ-পরিচালক আঃ রশিদ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম। এছাড়াও সভায় জেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত।
ঘূর্নিঝড় আশনি প্রভাবে সোমবার রাতভর ভোলায় রাতভর বর্ষন হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ১০টার পর থেকে পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু হতে শুরু করলেও বিকালের পর তা আবার বৈরী অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও নদী নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। সাগর ও নদীতে মাছ ধরা নৌকা ট্রলার তীরে ফিরে এসেছে। তৃতীয় দিনের মত উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের নিরাপদে আসতে মাইকিং ও প্রচরনা চালায় মৎস্যবিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৩:২৭ ৪১২ বার পঠিত