শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ভোলায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হলো ১৪০টি শিখন কেন্দ্র

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হলো ১৪০টি শিখন কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১



বিশেষ প্রতিনিধি ॥
জেলা সদর ও চরফ্যাশন উপজেলায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ১৪০ টি শিখন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসূচির আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটি এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ভোলার দুই
উপজেলার মোট ২০টি ইউনিয়নে ৪২’শ শিশু এসব শিখন কেন্দ্রে বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সপ্তাহে ৬ দিন ৩ ঘন্টা করে এসব কেন্দ্রে ক্লাস হয়। প্রত্যেক কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এ প্রকল্পের অর্থায়নে রয়েছে।
দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো: ইউনুছ জানান, এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের জন্য বই, খাতা, কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। মোট শিখন কেন্দ্রের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৯৫ টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৫০ জন শিশু ও সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৪৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। জরিপের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়েছে।

---

তিনি আরো জানান, যেসব স্থানে প্রাইমারি স্কুল নেই, সেসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর চরফ্যাশন ও ১৪ ডিসেম্বর ভোলা সদরে শিখন কেন্দ্র চালু করা হয়। কেন্দ্রগুলোতে ৮ থেকে ১৪ বছরের শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ১২০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। মোট ৪২ মাস পর্যন্ত প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এখানে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ দান করানো হবে।
দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির সদর উপজেলার ম্যানেজার মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এসব শিখন কেন্দ্রে ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। যদি সঠিকভাবে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দান করানো যায়, তাহলে অবশ্যই এর ইতিবাচক সুফল পাওয়া যাবে। বর্ণমালা বা প্রাথমিক শিক্ষার আলো যার মধ্যে নেই, তাকে অন্যের উপর অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করতে হয়। আর শিক্ষা পেলে নিজের ভালো মন্দ বুঝতে পারাসহ পরনির্ভরতা আর থাকেনা। তবে এ ক্ষেত্রে শিখন কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং এর জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান তিনি।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন আজাদ জানান, দেশে ১০ লাখ শিশু নিয়ে আমাদের এ কার্যক্রম চলছে। এর মাধ্যমে আমাদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাবে এবং শতভাগ স্বাক্ষরতার টার্গেট পূরণ হবে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে প্রকল্প’র কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৪:৫৯   ৩২২ বার পঠিত