শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে প্রভাবে: উপকূল জুড়ে বৈরী পরিবেশ দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ॥ সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি

প্রচ্ছদ » জেলা » ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে প্রভাবে: উপকূল জুড়ে বৈরী পরিবেশ দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ॥ সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছ উপকূলীয় জেলা ভোলায়। সকাল থেকেই জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী এক-দুই দিন এই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় ৬৯২টি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মাছ ধরার ট্রলার গুলোকে সমুদ্রে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। ভোলা-ঢাকা নৌ রুটের লঞ্চ ও একই সাথে ভোলা-লক্ষীপুর-ভোলা-বরিশাল ফেরী গুলো এখন স্বাভাবিক অবস্থায় চলাচল করছে। সর্তক সংকেত বাড়লে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িক বন্দ রাখা হবে বলে জানান বিআইডব্লিউটির কর্মকর্তারা।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)র উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সব শেষ ফোরকাস্ট অনুযায়ী মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’।এটি ক্রমেই ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলে জাওয়াদের আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। তবে জাওয়াদের প্রভাবে রবিবার ভোরে  উপকূলীয় জেলা গুলোতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনভর মেঘলা থাকতে পারে আকাশ। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর দূরবর্তী সংকেত এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে। জেলায়  মানুষকে সচেতন করা জন্য ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান। সিগ্যানাল বাড়বে উপকূল জুড়ে সচেতনতায় মাইকিং করা হবে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো: সহিদুল ইসলাম বলেন, ভোলার সকল রুটের নৌযান চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ’ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বন্ধ করার ঘোষনা আসলে বন্ধ রাখা হবে। ভোলা-লক্ষীপুর-ভোলা-বরিশাল ফেরীগুলো এখন স্বাভাবিক অবস্থায় চলাচল করছে বলে জানান।
ভোলা জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন বলেন, আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে জাওয়াদের আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। যদি এর প্রভাবে সিগ্যানাল বেড়ে ৪ নং  সর্তক সংকেত দেখাতে বললে আমরা স্থানীয় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রস্তুতি সভা করবো। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ মোকাবিলায় সকল প্রকার  প্রস্তুতি  গ্রহন  করা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় জেলা ভোলার ৬৯২টি আশ্রয় কেন্দ্রকে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যাদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩২:৩৭   ২৭৫ বার পঠিত