শনিবার, ১১ মে ২০২৪

জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ: চরফ্যাশনে সাত মাদ্রাসার বেতন-ভাতা বন্ধ

প্রচ্ছদ » অপরাধ » জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ: চরফ্যাশনে সাত মাদ্রাসার বেতন-ভাতা বন্ধ
শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১



চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
চরফ্যাশনে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬০ শিক্ষক কর্মচারী জুলাই মাসের বেতন-ভাতা পাননি। দক্ষিণ ফ্যাশন সামছুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, উপজেলায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক-ক্যাটালগার, নিরাপত্তাকর্মী, আয়া নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করায় চরফ্যাশন উপজেলার ৭টি মাদ্রাসার এমপিও স্থগিত করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। একই সঙ্গে মাদ্রাসাগুলোর এমপিও স্থায়ীভাবে বাতিল, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ-সুপারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের কেন করা হবে না তার ব্যাখ্যাসহ কারণ জানতে চাওয়া হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের পৃথক পৃথক অফিস আদেশে জানা যায়, মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন জালিয়াতি করে চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গত বছরের ২৮ আগষ্ট গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক-ক্যাটালগার, নিরাপত্তাকর্মী, আয়া নিয়োগ দেওয়া হয়, আসলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় গত বছরের ২৬ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। দক্ষিণ ফ্যাশন সামসুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় গত বছরের ২১ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক-ক্যাটালগার, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গত বছরের ২৭ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গত বছরের ৩০ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হয়। দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদ্রাসায় গত বছরের ২৮ আগস্ট সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হয়। একই তারিখে আসলামপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেয়। এসব মাদ্রাসা কথিত ডিজির প্রতিনিধি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেখিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন সাবমিট করে।
নিয়োগ জালিয়াতি প্রসঙ্গে নুরাবাদ হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম ওবায়েদুল্লাহ বলেন- মাদ্রাসার আইডি হ্যাক করে একটি চক্র এ নিয়োগ কার্যক্রম স¤পন্ন করেছেন।
দক্ষিণ ফ্যাশন সামছুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ২৬ জুলাই অধিদপ্তর চিঠি দিয়ে ৫ আগষ্টের মধ্যে জবাব চেয়েছে। আমরা জবাব দিয়েছি। জুলাই/২১ এর এমপিওর কপি ডাউনলোড করে দেখি চরফ্যাশনে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওর কপিতে বেতন-ভাতার পরিবর্তে সাদা কাগজ রয়েছে। তার মানে ব্যাংকে আমাদের বেতন-ভাতা আসেনি।
সহকারী শিক্ষক শাহাবুদ্দিন বলেন, করোনার মধ্যে অধিদপ্তর আমাদের উপর জুলুম করেছে। অধিদপ্তরের খাম-খেয়ালিপনায় ১৬০ শিক্ষক কর্মচারীর জীবন বিপন্ন হতে শুরু করেছে। জমিয়তুল মোদারেছিনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ হুমায়ুন সরমান বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে ২-৩ জনের অভিযোগে পুরো মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল বলেন, এটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বিষয়। তাদের অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৮:৫৫   ৪৪২ বার পঠিত