শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ভেদুরিয়ায় কৃষককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভেদুরিয়ায় কৃষককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম
বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার:

ভোলার ভেদুরিয়ায় কৃষককে মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক মুনসুর (৩০)কে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে মন্নান গাজী বাহিনী। কৃষক মুনসুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাটের অপরপাশে নতুন চরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কৃষক মুনসুর জানান, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির মুনসুরের পিতা আবু সায়েদ ও একই ইউনিয়নের মন্নান গাজী লঞ্চঘাটের অপরপাশের নতুন চরে একই মৌজার জমি সমানভাবে চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছে। তাদের ভোগদখলীয় জমির কিছু অংশ নদীতে ভেঙে যায়। এরপর ওই জমি ভোগদখল নিয়ে আবু সায়েদ ও মন্নান গাজী গংদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আবু সায়েদের ছেলে মুনসুর ওই মৌজায় তাদের ভোগদখলীয় অংশে চাষ করার জন্য টিলার দিয়ে জমি নিরানোর কাজ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মন্নান গাজী, তার ছেলে আবদুল্লাহ ও  সালাহউদ্দিন ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে কৃষক মুনসুরকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মুনসুরের আত্নচিৎকার শুনে লোকজন এসে ঝড়ো হলে হামলাকারী মন্নান গাজী গংরা চলে যায়। লোকজন মুনসুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ব্যাপারে হামলাকারী মন্নান গাজী, আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

---

আহত কৃষক মুনসুর বলেন, ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটের অপরপাশের নতুন চরে একই মৌজার জমি আমরা ও মন্নান গাজী গংরা সমানভাবে ভাগ করে চাষাবাদ করে আসছি। আমাদের ভোগদখলীয় মৌজার কিছু জমি নদীতে ভেঙে নিয়ে যায়। মন্নান গংরা বলে নদীতে তাদের জমি ভেঙে যায়নি, শুধু আমার জমি ভেঙে নিয়ে গেছে। নদীতে ভেঙে কমলে আমাদের দু’জনে মধ্যে থেকে কমবে। কিন্তু তারা আমার মধ্যে চাপিয়ে দিচ্ছে। আজ আমার অংশে চাষাবাদ করতে গেলে মন্নান, আবদুল্লাহ ও সালাহউদ্দিন আমাকে মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মন্নান গাজী গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কামাল মেম্বার বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করবো। এখন আহত মনসুরকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩৫:৩৯   ৪৩৬ বার পঠিত