ছোটন সাহা ॥
ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় ভোলায় দিনভর ভোলায় ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ ১৪ কিলোমিটার। নদী ছিলো উত্তাল। অন্যদিকে ঝড়ের প্রভাবে মেসঘনার পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর ও চর পাতিলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে নদী উত্তাল থাকায় বিকালে পর থেকে ভোলায় সব ধরনের নৌযান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একটি মাছ ধরার মেঘনা ভোলার মেঘনায় ঝড়ের কবলে পড়ে একটি মাছ ট্রলার ডুবে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়, তবে এ দুর্ঘটনা কোন হতাহত নেই। ট্রলারে কিছু জাল নস্ট হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময়ে ইলিশা ফেরীঘাট এলাকায় ৩/৪টি দোকান ভেঙ্গে গেছে বলেও জানান তিনি।
বৈরী আবহাওয়ার কারনে তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা। অপরদিকে মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি পুরাতন বাঁধ ধ্বসে গেছে। তবে বিকল্প বাঁধ থাকায় এতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি।
ঝড়ের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় ভোলা-বরিশাল, ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিটিএ। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারি পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিপদ সংকেত কম থাকলেও ঝড়ের কারনে নদী অনেক উত্তাল, তাই বড় এবং ছোট সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
অপরদিকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটেও ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হয়েছে বলে জারিয়েছেন ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইনচার্জ মোঃ পারভেজ খান।
এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশীরভাগ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিস্তিতির উপর নির্ভর করে উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনার কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু এলাকায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১:০৪:৪২ ৪৫০ বার পঠিত