রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোলায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ॥ যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ॥ যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে
সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১



আদিল হোসেন তপু ॥
ভোলায় ধর্মীয় সম্প্রতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় ও প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে ছিলো তারা এবং যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে চায় একই সাথে দেশকে পাকিস্তানী কায়দায় দেশকে পরিচালনা করতে চায় তারা দেশীয় ও ইন্টারন্যাশনালি একটি চক্র মিলে ধর্মীয় অনুভতিকে আঘাত হেনে এই ধরনের অপর্কম করে দেশর সম্প্রতি নষ্ট করার চেষ্টা করে বলে জানান।
এদের কোন ধর্ম নেই কোন দল নেই কোন গোত্র নেই। এই লোকগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এর জন্য সকলকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সহযোগীতা করার আহবান জানান। আমরা এই ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা যারা ঘটায় তাদের তদন্ত করে খুঁেজ বের করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই। যেন ভবিষ্যৎ এই ধরণের অপকর্ম আর না ঘটে।

---

এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের চিন্তা করতে হবে যেন কেউ ধর্মকে ব্যবহার  করে যেন জঘন্যতম অপরাধ করতে না পারে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেইসবুকে, ইউটিউবে এই ধরণের অপপ্রচার ঘটনা বেশি ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলছি যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা ধর্ম নিয়ে কুটক্তি ছড়ায় এই ধরণের অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, যারা অন্যায়কারী যারা অপরাধ কাজের সাথে লিপ্ত এবং যারা সংবিধানের মূলনীতি ভঙ্গ করার জন্য চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন হয়ে গেছে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সে যেই  ধর্মেও লোক হোক না কেন। তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলে কোরআনের বাইরে উস্কানিমূলক কোন বক্তব্য দেয়া যাবে না। নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ লালন ও ধারন করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। সবাইকে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে এবং এটি তৃনমূল পর্যায়ে ছড়িতে দিতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জনগনকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতার আহ্বান জানান। প্রতিমিন্ত্রী বলেন, আগামীতে হজ্জ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন দেশেই হবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বের আরো বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন আল ফারুক, ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, ভোলা জেলা পূজা উদযাপনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বাংকেরহাট মডেল মসজিদে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরো তিনি সনাতন ধর্মলম্বীদের পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:২০   ২৬৬ বার পঠিত