রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোলার ইলিশাঘাট পরিদর্শণকালে ১১ দাবিতে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলার ইলিশাঘাট পরিদর্শণকালে ১১ দাবিতে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
রবিবার, ৭ মে ২০২৩



আদিল হোসেন তপু ॥

ভোলার ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে ওই ঘাট উন্নয়নে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটি। শনিবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা ইলিশা ঘাট পরিদর্শনকালে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ইলিশা এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র মালিকানাধিন জমিতে আধুনিক সুবিধাসহ পার্কিংইয়ার্ড স্থাপন, ৩টি লঞ্চ ও ২টি ফেরিঘাটের এ্যাপ্রোচ সড়ক উচু করে পাকা করণ, যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার স্থাপন, আধুনিক যাত্রী ছাউনী নির্মান, আধুনিক ও এ’ শ্রেনির বন্দরের ন্যায় পন্টুন স্থাপন, যাত্রী ওঠা-নামার জন্য আধুনিক ও টেকসই জেটি স্থাপন,  ঘাট এলাকায় রাতে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা করা, নৌ-রুট চ্যানেল ঠিক রাখতে নদীর ড্রেজিং করা, লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাটের রহমতখালি খাল সারা বছর ধরে ড্রেজিং এর নামে শত কোটি টাকা বিনষ্ট না করে, ওই ঘাট দেড় কিলোমিটার নদীর কাছাকাছি স্থানে স্থানান্তর, বিকল্প রুট হিসেবে ইলিশা-মতিরহাট ঘাট চালু করা, সার্বক্ষনিক ঘাট তদারকি ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বরিশাল অফিসের কার্যক্রম ভোলায় স্থানান্তর করা।

---

এ দাবির প্রেক্ষিতে বিইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ইলিশাঘাটসহ জেলায় ৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থায়নে এই কাজ শুরু হচ্ছে। ওই প্রজেক্টেও সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ১১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। ভোলার এই ঘাটটি দেশের উদাহরণ হতে পাওে এমন উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোস্টগার্ডের দিক্ষণ জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহিদুল হক, বিইডব্লিউটিএ বরিশাল জোনের সিপিএস, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জ্বামান, ভোলার নদীবন্দর কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল হক, ভোলা স্বার্থরক্ষা কমিটির সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সম্পাদক অমিতাভ অপু, ঘাট ইজারাদার সরোয়াদ্দিন মাস্টার, জনপ্রতিনিধি প্রভাষক খাদিজা আক্তার স্বপ্না,  সাংবাদিক আদিল হোসেনের তপু, প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক মোঃ ছিদ্দিকুল্লাহ, সাংবাদিক জুয়েল সাহা প্রমুখ। বিঅঅইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোলায় এসে প্রথমে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট পরির্দশন করেন। পরে সকালে চরফ্যাশনের ঘাট ও দুপুরে ইলিশা ঘাট পরিদর্শণ করেন। এ সময় ঘাটের এ্যাপ্রোস সড়কের নাজুক অবস্থা দেখতে পান।

ঘাট ইজারাদার জানান, ঘাটগুলো বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকে। এ সময় ফেরি ও লঞ্চে যাতায়াত করা যায় না। মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বছর প্রায় ৩ কোটি টাকায় এ ঘাটের ইজারা আনা হয়। অথচ সেই অনুসারে ঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে না। তাবে কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বব্যাংকের নেয়া পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করেন সকল সমস্যা সমাধান করে এই ঘাটের সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ সময় বন্দর সহকারী পরিচালককে ডেকে মিডিয়াবন্ধম কাজ করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জেলার ৫টি ঘাটে বিশ্বব্যংকের অর্থায়নে ল্যান্ডিং স্টেশন করা হবে। এগুলো হচ্ছে ভোলার ইলিশা, ভেদুরিয়া, দৌলতখান, তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার লঞ্চঘাট।

 

বাংলাদেশ সময়: ১:০০:০৪   ২৫৪ বার পঠিত