বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লালমোহন ও তজুমদ্দিনে শোক বার্তা সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

প্রচ্ছদ » অপরাধ » লালমোহন ও তজুমদ্দিনে শোক বার্তা সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
সোমবার, ৮ আগস্ট ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিনে শোক বার্তা সম্বলিত পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে লালমোহন কলেজপাড়া, থানার মোড় ও রবিবার রাতে লালমোহন মঙ্গল সিকদার সড়কের মাষ্টার বাজার, মঙ্গল সিকদার বাজার, চাঁচড়া উত্তর বাজার, চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, চাঁচড়া আনন্দ বাজার গিয়ে ব্যাপক পোস্টার ছেঁড়া পাওয়া যায়।
জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লালমোহন ও তজুমদ্দিনের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের পক্ষে শনিবার এই পোস্টার গুলো লাগানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার্থে আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দলীয় নমিনেশন নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বাহিরেও আরো কয়েকজন লোভিং  রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আবু নোমান হাওলাদারের সর্মথকরা গত কয়েকদিন যাবৎ লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্নস্থানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আবু নোমান হাওলাদারের সৌজন্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত পোস্টার লাগিয়ে যাচ্ছেন। সেই সকল পোস্টার গুলো স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের লোকজন অভি হাসান পঞ্চায়েত, নাহিদুল ইসলাম পাপ্পু পঞ্চায়েত ও জাকিরের নেতৃত্বে লালমোহনে এবং মাহাতাব উদ্দিন হাসান, মোশাররফ হোসেন, কালা হাসান, ইদ্রিস, তানভীর রিশান ও মর্তুজা সজীব পঞ্চায়েত এর নেতৃত্বে মাষ্টার বাজারের পোস্টার গুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়পছে।
অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউপি সদস্য আঃ মন্নান, চাঁচড়া ইউপি সদস্য ফিরোজ হারুন ও জহির মাতব্বরের নেতৃত্বে মঙ্গল সিকদার বাজার ও চাঁচড়া উত্তর বাজারের পোস্টার গুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়।
চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন এর নেতৃত্বে রাহাত তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং আনন্দ বাজারে লাগানো পোস্টার গুলো ছিঁড়ে ফেলে বলে জানান সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা।
এদিকে বিষয়টিকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা বলেন, যে কোন দলেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ছবি ছিঁড়ে ফেলা হবে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড সমর্থন করেনা। প্রশাসনের উচিত এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৬:৪৬   ২৯৬ বার পঠিত