বুধবার, ১ মে ২০২৪

ভোলায় কমরেড নলিনী দাসের শতবর্ষের স্মারক ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় কমরেড নলিনী দাসের শতবর্ষের স্মারক ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দোলনের বন্দি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আজন্ম বিপ্লবী কমিউনিস্ট নেতা কমরেড নলিনী দাসের শতবর্ষের স্মারক ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ভোলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে ভোলা কালীনাথ রায়ের বাজারে অবস্থিত নলিনী দাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে নলিনী দাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, লায়ন্স হোমিও কলেজ, নলিনী দাস হাসপাতাল, নলিনী দাস স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের হল রুমে এক প্রতিবাদ সভা করা হয়।

---

নলিনী দাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার সাহার সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপ্রতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মাহাবুবুর আলম নিরব মোল্লা, নাম হোমিও কলেজ ও নলিনী দাস হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ মো. কামাল উদ্দিন প্রমূখ। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সৈনিক ভোলার কৃতি সন্তান, ভোলার গৌরব কমরেড নলিনী দাস। তার পৈতৃক এই স¤পত্তি তার পিতা দুর্গামোহন দাসের নামে ট্রেষ্টির মাধ্যমে তাদের জমিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যার দারা এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আলোকিত হচ্ছে। তার নামেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নলিনী দাস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় চত্বরে শতবর্ষের স্মারকটি তার মৃত্যু দিবসের দিনে ভেঙ্গে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে। আমরা ৭১ এর সেই পেতআতত্মাদের ঘৃণা জানাই। এবং তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদা জানাচ্ছি। অতি দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে নলিনী দাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১০ সালের ১ জুন বিপ্লবী এই নেতার জন্মদিনে নলিনী দাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে কমরেড নলিনী দাসে এর একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। গত রবিবার ১৯ জুন বিপ্লবী এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত তার শতবর্ষের স্মারক ভাস্কর্যে বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার সাহা ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১:১৬:০৫   ৩৪৭ বার পঠিত