
স্টাফ রিপোর্টার ॥
যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের কৃষানী নামের একটি ফেরী বিকল হয়ে পড়ায় উভয় পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে ৩শতাধিক পরিবহন। ৫ দিনেও ফেরী সচল না হওয়ায় দিন দিন এ জট বাড়ছে বলে ট্রাক শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত ভোলা অংশের ইলিশাঘাটে ১৪০টি এবং লক্ষীপুর অংশের মজুচৌধুরীরহাটে আরো ১৩০টি পরিবহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিলো। ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা আর দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরীতে সিরিয়াল পাচ্ছেন না মালিক শ্রমিকরা।
সুত্র জানিয়েছে, ভোলার সাথে দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষপুর রুট। গুরুপ্তপূর্ন থেকে এ রুটে কনকচাপা, কুসুমকলি এবং কৃষানী নামের তিনটি ফেরী চলাচল করে আসছিলো।
কিন্তু গত ১০ জুলাই কৃষানি নামের একটি ফেরী যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিকল হয়ে যায়। এতে তিনটির স্থলে দুটি ফেরী চলাচল করায় উভয় পাড়ে দীর্ঘ লাইন জটের সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দুটি ফেরী দিয়ে জট কমানো সম্ভব হচ্ছে। পারাপারের জন্য একেকটি ট্রাককে গড়ে ৩/৭দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাটে অপক্ষেমান ট্রাকগুলোতে কাচামালসহ বিভিন্ন পন্য থাকায় তা পচন ধরতে শুরু করেছে। দক্ষিনাঞ্চলের জেলারগুলোতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাতœক বিঘেœ সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনীয় ট্রাকগুলো নির্ধারিত সময়ে যেতে পারছেনা।
এদিকে ঘাটে জোয়ারের পানির সমস্যার কারনেও দিনে ১/২ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে যানবাহনের লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে। তবে কবে নাগাত ফেরী সচল হবে তা বলছে পারছেনা ট্রাক, চালক ও ঘাটের শ্রমিকরা।
জানতে চাইলে ভোলা ফেরী গাটের ইনচার্জ আবু আলম বলেন, কৃষানি নামের একটি ফেরী গত ১০ জুলাই রিফারিং করতে পাঠানো হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে তা সচল হবে। যানজট কমানোর জন্য ফেরীর ট্রিপ বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:৫৩ ২৯৫ বার পঠিত