
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কলেজে সহকর্মীদের হাতে পিটুনির শিকার হয়েছেন সেলিম আহমেদ লিটন নামের এক শিক্ষক। বৃহ¯পতিবার দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ভোলা সদর থানায় আশ্রয় নেন। পুলিশ তাঁকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেলিম আহমেদ লিটন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা। একই কলেজের ইতিহাস বিভাগের এই প্রভাষক কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। হামলার জন্য তিনি একই কলেজের ইংরেজির প্রভাষক মাকসুদুর রহমান তুহিন ও সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক মফিজুর রহমানকে দায়ী করেছেন।
কলেজ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কলেজের অফিস সহকারী পদে এমপিওভুক্তির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নোমান হোসেনের নেতৃত্বে বৃহ¯পতিবার দুপুরে বৈঠকে বসেন শিক্ষকরা। সেখানে সেলিমের সঙ্গে তুহিনের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সেলিমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন তুহিন ও তাঁর ভাই মফিজ।
সেলিম আহমেদের ভাষ্য, তিনি ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইংরেজির প্রভাষক মাকসুদুর রহমান তুহিন ও তাঁর ভাই প্রভাষক মফিজুর রহমান পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁকে আটকে মারধর করেছে। তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাকসুদুর রহমান তুহিন সহকর্মীকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, হাতাহাতির এক পর্যায়ে সেলিম দরজার ওপর পড়ে আঘাত পান। এ সময় তাঁর মুখ থেকে রক্ত বের হয়। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন সেলিম।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নোমান হোসেনের ভাষ্য, সাবেক একজন অফিস সহকারী টাকা চাইতে এসেছিলেন। তাঁর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চান। তিনি (নোমান) ১৩ মাস কলেজের দায়িত্বে। ঘটনাটি এর আগের। ওই বিষয়টি জানা ছিল না। পরে শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। কথার মধ্যে উত্তেজিত হয়ে সেলিমকে মারধর করেন তুহিন।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা সেলিম আহমেদ রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় চলে আসেন। চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ পুলিশ টিমের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৯:২৭ ৯৫৯ বার পঠিত