
মোঃ আবির হোসাইন, দৌলতখান ॥
দৌলতখানে অঞ্জলি নামে এক নার্সের বিরুদ্ধে রোগীর রিপোর্ট আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত ২২-০৯-২০২৫ ইং তারিখে পেট ব্যাথা নিয়ে সুমাইয়া নামের এক ডেলিভারি রোগী দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসে। রোগী এসে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবরিনা মমতাজ কে খুঁজে ছিলেন। কিন্তুু অঞ্জলি নামের এক নার্স এসে সাবরিনা মমতাজ ছুটিতে আছে বলে তাদেরকে কৌশলে সাথে করে লেবার রুমে নিয়ে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে ডেলিভারি করতে পারেনি নার্স অঞ্জলি। রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার কারণে রোগীর গার্ডিয়ান ভোলা সদর হাসপাতলে নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। নার্স অঞ্জলি তাদেরকে যেতে মানা করেন,এবং বলেছে সে ডেলিভারি করিয়ে দিবে। কিন্তুু রোগী তার কথা না শুনে ভোলা সদর হাসপাতালে রওয়ানা দিলে নার্স অঞ্জলি তাদের পূর্বের সকল প্রকার রিপোর্ট আটকিয়ে রাখে।
রোগীকে গাড়িতে উঠিয়ে আবার তার কাছে রিপোর্ট এর জন্য গেলে সে তাদেরকে রিপোর্ট না দিয়ে খারাপ আচরণ করেন।
তখন রোগীর অবস্থা আসংকা জনক হওয়ায়,রিপোর্ট রেখে ভোলায় চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ডাঃ পূর্বের রিপোর্ট গুলো দেখতে চাইলে তারা বলছেন রিপোর্ট নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, এক পর্যায়ে আবার নতুন করে রিপোর্ট করতে হয়েছে। সেখানে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবং রুগীকে পরিক্ষার রিপোর্ট গুলো পেতে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ব্যাথায় কাতর অবস্থায় অপেক্ষা করতে হয়েছে , পরে হাতে পাওয়ার পর রিপোর্ট দেখে ডাঃ বলেন অনেক, রোগী এবং গর্ববতী শিশুর অবস্থা খুব খারাপ, তাই তিনি সিজারের পরামর্শ দেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত সিজার করতে ও হয়েছে। এ সকল কিছুর দায়িত্ব নার্স অঞ্জলিকে নিতে হবে বলে, রোগী সুমাইয়া ও তার পরিবার গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, তারা আরো জানায় আমরা আমাদের পরিবারের আরো ৫টা ডেলিভারি দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স (সাবরিনা মমতাজ) আপাকে দিয়ে করিয়েছি, তিনি নিজে খুব যতœ সহকারে আমাদের কাজ গুলো করেছেন, সেই জন্য আমরা এসে ওনাকে খুঁজি, ওনার ব্যবহার ও অনেক সুন্দর, কিন্তু ওনারা আমাদের সাথে এমন আচরণ কেন করেছেন, আমরা তার বিচার চাই এবং আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এ ব্যাপারে নার্স অঞ্জলিকে ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি জানি না, আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানে।
দৌলতখান হাসপাতালের টিএস আনিসুর রহমানের কাছে থেকে জানতে চাইলে, তিনি বলেন রোগী আমার কাছে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
বাংলাদেশ সময়: ২:৫২:১২ ২৮৭ বার পঠিত