
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে দীর্ঘবছর ধরে চলছে ঘুষ বানিজ্য, অফিসটি একটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রনে থাকার কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। এবার আসবাবপত্র কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে স্বোচ্ছার হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে অফিসটির জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আসবাবপত্র ক্রয়ের উদ্দেশ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে অল্প কিছু আসবাবপত্র কেনা হলেও বাকি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ষ্টাফদের। এ ঘটনায় ভোলা সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, অফিস সহকারী নোমান ও স্প্রেম্যান মোঃ ইব্রাহিমকে দায়ী করছেন অনেকেই।
অভিযোগ রয়েছে, কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে একই অফিসে চাকরিরত আঃ মালেক, নোমান ও মোঃ ইব্রাহিম বিভিন্ন প্রকল্পের ডিলারদের র্দূনীতি করার সুযোগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ও এম এস, জেলে সহায়তার ডিও নিতে প্রত্যেক ডিলারের কাছ থেকে প্রতিবার হাজার হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। টাকা না দিলে চাল ওজনে কম, ছেড়ো ফাটা বস্তা প্রদানসহ নানা তালবাহানার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয় সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে অফিসের আসবাবপত্র যাচাই-বাছাই করলে দেখা যায়, নিন্মমানের নতুন কয়েকটি চেয়ার ও ছোট একটি টেবিল কেনা হয়েছে। পুরাতন কিছু আসবাবও দেখিয়ে নতুন কেনা হয়েছে বলে জানানোর চেষ্টা করেন সদর কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, সরকারি বরাদ্দের চেয়েও বেশি আসবাবপত্র কিনেছেন তিনি। বেশী আসবাবপত্র কেনার টাকা কোথায় পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি তার উত্তর দিতে পারেননি। তবে প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছেন, বাস্তবে অফিসে বরাদ্দকৃত টাকার সঠিক ব্যবহার হয়নি এবং বিষয়টি তদন্ত করে দূর্নীতির বিচার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর মধ্যে কিছু ডিলার ১৫টাকা দামের খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের চাল নিয়ে অনিয়ম করেছিলেন, তাই ভুক্তভুগিরা মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসক এবং খাদ্য বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তা নিয়ে অনেক পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল, কিন্তু অনিয়ম ও দূর্নীতিবাজদের কোন প্রকার শাস্তি না দিয়ে, কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কোন কালো ছায়ার কারনে তাদের পক্ষ নিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করার অভিযোগ রয়েছে। এমন অবস্থা জেলার ৭ উপজেলাতেই বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগিরা।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এহসানুল হক জানান, বিষয় গুলো করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা জানালেও তিনি দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করিয়ে, র্দূনীতিবাজদের পক্ষেই নির্দোষ রিপোট দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৭:৩০ ৩০৯ বার পঠিত